কক্সবাজার প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। এ সময় কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে অবশিষ্ট বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরটি আরএসও বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একদিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে আবারও সশস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প শান্ত ছিল। এর মধ্যে গোলাগুলি হয়নি। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ও আশপাশে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরএসওর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।’
তবে গোলাগুলির কোনো তথ্য জানেন বলে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা।
ইউএনও বলেন, ‘আপাতত আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা কড়া নজরদারিতে ঘিরে রেখেছেন। এ ছাড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।’
গত বুধবার ভোর ৬টা থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হামিদুল্লাহ নামের আরএসও লেখা পোশাক পরিহিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। এ সময় মুহিবুল্লাহ নামের আরএসওর আরও এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দিনভর গোলাগুলির মধ্যে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ৫০০ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই শিবিরে ৬২১টি ঘরের মধ্যে বাকি ঘরগুলোতে শুক্রবার আগুন দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অবশিষ্ট ঘরগুলোও প্রায় পুড়ে গেছে।
বুধবার গোলাগুলি ও ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর আশ্রয় শিবিরের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এবং একটি অংশ বাংলাদেশের ভেতরে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। গোলাগুলিতে হতাহতের অবস্থা জানা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ঘটনার পর শূন্যরেখা থেকে পালিয়ে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো সেখানেই আছেন। তাঁদের বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন।’
মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকা এখন বিশেষ পোশাক পরিহিত লোকজনের নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয়রা তাঁদের ওয়াকিটকিসহ সশস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেয়েছে। এতে সীমান্তে বিবাদমান সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।’
তমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে ছোট ছোট দলে পাশের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কেউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনের ঘরে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। এ সময় কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে অবশিষ্ট বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরটি আরএসও বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একদিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে আবারও সশস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প শান্ত ছিল। এর মধ্যে গোলাগুলি হয়নি। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ও আশপাশে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরএসওর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।’
তবে গোলাগুলির কোনো তথ্য জানেন বলে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা।
ইউএনও বলেন, ‘আপাতত আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা কড়া নজরদারিতে ঘিরে রেখেছেন। এ ছাড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।’
গত বুধবার ভোর ৬টা থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হামিদুল্লাহ নামের আরএসও লেখা পোশাক পরিহিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। এ সময় মুহিবুল্লাহ নামের আরএসওর আরও এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দিনভর গোলাগুলির মধ্যে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ৫০০ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই শিবিরে ৬২১টি ঘরের মধ্যে বাকি ঘরগুলোতে শুক্রবার আগুন দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অবশিষ্ট ঘরগুলোও প্রায় পুড়ে গেছে।
বুধবার গোলাগুলি ও ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর আশ্রয় শিবিরের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এবং একটি অংশ বাংলাদেশের ভেতরে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। গোলাগুলিতে হতাহতের অবস্থা জানা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ঘটনার পর শূন্যরেখা থেকে পালিয়ে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো সেখানেই আছেন। তাঁদের বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন।’
মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকা এখন বিশেষ পোশাক পরিহিত লোকজনের নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয়রা তাঁদের ওয়াকিটকিসহ সশস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেয়েছে। এতে সীমান্তে বিবাদমান সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।’
তমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে ছোট ছোট দলে পাশের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কেউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনের ঘরে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
২ ঘণ্টা আগে