Ajker Patrika

তিন দিন আগে কেনা অস্ত্রে প্রাণ যায় তাসফিয়ার: র‍্যাব

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৭: ৫৯
তিন দিন আগে কেনা অস্ত্রে প্রাণ যায় তাসফিয়ার: র‍্যাব

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মালেকার বাপের দোকান এলাকায় ১৩ এপ্রিল সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় চার বছরের শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত। এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রিমন যে আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহার করেছিলেন তা ঘটনার তিন দিন আগে ২১ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

নোয়াখালী র‍্যাব কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

খন্দকার আল মঈন জানান, গতকাল মঙ্গলবার তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন (২৩) ও তাঁর সহযোগী সোহেল উদ্দিন (২৪), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) এবং আকবর হোসেন (২৬) উপজেলার সুবর্ণচরের চরক্লার্কে অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‍্যাবের একটি দল। এ সময় ওই সন্ত্রাসীরা র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুটি গুলি ছুড়লে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা পিছু হটার চেষ্টা করলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গোলাবারুদ, একটি পিস্তল, একটি পাইপগান ও ছয়টি গুলি জব্দ করা হয়। 

ব্রিফিংয়ে খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ১৩ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর ও নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন মামুনের দোকানে এসে, ‘তুই (আবু জাহের) ওই দিন বৈঠকে ছিলি’ বলে গালাগালি করে। একপর্যায়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তাঁরা বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন থেকে আরও দুইটি শটগানের গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা ছিলেন না মাওলানা আবু জাহের। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিল এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হন মাওলানা আবু জাহের, আর সেই টার্গেটের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তাসফিয়া। 

এ ঘটনায় ১৪ এপ্রিল দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তাসফিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই সম্পর্কিত পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত