লক্ষ্মীপুরে ৩৪ আগ্নেয়াস্ত্র জমা, তাহেরপুত্র টিপুর অস্ত্রের খোঁজ নেই 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ৫৬
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরে বেসামরিক ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সকৃত ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে ৩৪টি। এসবের অস্ত্রের মধ্যে পিস্তল ১৫টি, শটগান ১৭টি, একটি বন্দুক ও একটি রাইফেল। অবশিষ্ট অস্ত্রটি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপুর। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আলোচিত প্রয়াত মেয়র আবু তাহেরের ছেলে। 

এর আগে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইস্যু করা আগ্নেয়াস্ত্র মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার মধ্যে জমার সময় নির্ধারিত ছিল। 

জানা যায়, ছাত্র–জনতার গণ-আন্দোলনকে ঘিরে গত ৪ আগস্ট সংঘর্ষে পুরো লক্ষ্মীপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টানা চার ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে প্রায় চার শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন অন্তত চার শতাধিক শিক্ষার্থী। 

এর মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন গুলিবিদ্ধ। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে সালাহউদ্দিন টিপুসহ অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপন করেন। 

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই দিন সকালে মাদাম ব্রিজ এলাকায় ও দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাসভবনের ছাদের ওপর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু ও তাঁর লোকজন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় তাঁকে প্রধান আসামি করে একাধিক মামলা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে জেলা প্রশাসন ব্যক্তিমালিকানা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করে ৩৫টি। এসব লাইসেন্সের বিপরীতে ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে ৩৪টি আগ্নেয়াস্ত্র। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইসেন্সের বিপরীতে কেনা একটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি। এখন সেসব অবৈধ হয়ে গেছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত