নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই 

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৯: ০০

বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করেছে নীলফামারীতে তিস্তার পানি। আজ শনিবার বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে ১২টার দিকে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪ টি) গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় পানি বেড়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। 

এরপর বেলা ৩টার দিকে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্যারেজ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। 

এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তাপাড়ের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। এমনই একটি গ্রাম ডিমলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর। ভারত থেকে তিস্তার প্রায় প্রবেশমুখে গ্রামটির অবস্থান। 

গ্রামের বাসিন্দা জামিয়ার হোসেন (৪৫) জানান, রাতে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে করে গ্রামের অনেকের বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এখানকার মানুষ আরও পানি বাড়ার শঙ্কায় আছেন। 

ডিমলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সকালে আমার ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই মৌজায় পানি প্রবেশ করে। এতে করে প্রায় এক হাজার ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়। দুপুরের পর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ফের পানি বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছে এলাকার মানুষ।’ 

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির তোরে ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। সেটি স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলে মেরামতের কাজ চলছে। তবে এখনো কোনো বাড়িঘরে পানি ওঠেনি।’ 

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদ্দৌলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার দুপুরে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারাজের সব কটি গেট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত