মালদ্বীপ-বাংলাদেশ শিগগিরই সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ০৪
Thumbnail image
মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সঙ্গে নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মালদ্বীপের সঙ্গে শিগগিরই বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হবে। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশিদ সাক্ষাৎ করতে এলে আলোচনার একপর্যায়ে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা বলেন, মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দক্ষিণ এশিয়ায় উভয় দেশই ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মেরিটাইম সেক্টরে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ টেক্সটাইল, ফলমূল, শাকসবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে থাকে। মালদ্বীপে বাংলাদেশের ১ লাখের বেশি অভিবাসী সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা মালদ্বীপের নির্মাণ, পর্যটন, বিপণন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য খাতসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাজ করছেন। এর মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশেরই অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে পারে। এ ছাড়া মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হলে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

এ সময় মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশিদ বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক। উভয় দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ আরও বাড়াতে সরাসরি জাহাজ চলাচল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কনটেইনার, সাধারণ যাত্রী বা মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি সমুদ্রপথে উভয় দেশের মধ্যে ক্রুজ সার্ভিস চালু করা যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশের পর্যটন বিকশিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য মালদ্বীপ থেকে ক্যাডেট পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে মেরিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মালদ্বীপের নিয়মিত ক্যাডেটরা এখান থেকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। হাইকমিশনার উপদেষ্টার এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিনিময় কর্মসূচিতে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ট্রান্সশিপমেন্ট নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০২৫ সালের অনুষ্ঠিতব্য আইএমও নির্বাচনে সি-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মর্মে মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিভিন্নভাবে নদ-নদীর ওপর নির্ভরশীল। বিদ্যমান তিনটি বৃহৎ সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় চুয়ান্নটি প্রধান নদীবন্দর রয়েছে। হাজারের ওপর নদ-নদী দেশজুড়ে জালের মতো বিস্তৃত। দেশের দক্ষিণে বিশাল বঙ্গোপসাগরের অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরকে আরও এগিয়ে নিতে এবং মেরিটাইম সেক্টরের বৈশ্বিক পর্যায়ে অবদান রাখতে বাংলাদেশ আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ বিষয়ে মালদ্বীপের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মণ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত