যেভাবে কাজ করে পুলিশের বডি ক্যামেরা

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১০: ২১
Thumbnail image

‘পুলিশ যখন মাঠপর্যায়ে কাজ করে তখন সাধারণ মানুষ, অপরাধীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় কে কী আচরণ করছে তা এ ক্যামেরায় রেকর্ড থাকবে; বিশেষ করে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বাড়াবাড়ি পরিস্থিতি তৈরি হলে তা তাৎক্ষণিক ক্যামেরাটির মাধ্যমে জানা যাবে। এতে পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি কী ধরনের আচরণ করেছিল তা জানা যাবে।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারিশ।

মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, এ জন্য একটি কন্ট্রোলরুম থাকবে। সেখান থেকে জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে ক্যামেরাযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার অবস্থান জানা যাবে। এর পাশাপাশি ওই পুলিশ অফিসারের কার্যক্রমের ভিডিও কেন্দ্রীয়ভাবে সরাসরি তদারকি করা যাবে। অপরাধ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, পুলিশের তল্লাশির সময় নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর দুই পক্ষ থেকে দুই ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। ক্যামেরা থাকলে ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন সহজ হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো এড়ানো যাবে।

এর আগে গত শনিবার নগরীর চারটি থানায় পুলিশ সদস্যদের বডি ওর্ন ক্যামেরা বিতরণের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে এর ব্যবহার শুরু করে পুলিশ। পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে নগর পুলিশের উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও বন্দর জোনের চার থানায় (কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ ও পতেঙ্গা) সাতটি করে বডি ওর্ন ক্যামেরা দেওয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত টহল বা অভিযানে দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শকদের পোশাকে বডি ওর্ন ক্যামেরা যুক্ত থাকবে।

কথা বলে জানা গেছে, এসব ক্যামেরা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ডিউটি তদারকির পাশাপাশি তাঁদের নিরাপত্তায় ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভি হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি জিপিএস ট্র‍্যাকিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত লোকেশন শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

সম্পূর্ণ এইচডি ফরম্যাটে ১৬ মেগাপিক্সেলের এ ক্যামেরায় একটানা ৮ ঘণ্টা দৃশ্য ও শব্দ ধারণ করা যাবে। ঝড়-বৃষ্টিতেও এগুলো সচল থাকবে। দায়িত্বরত পুলিশের পক্ষে এই ক্যামেরার ফুটেজ ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলার সুযোগ নেই বলে জানান কর্মকর্তারা।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, ইতিমধ্যে ক্যামেরার ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। থানায় দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার ও থানার বাইরে টহলরত কর্মকর্তাদের শরীরে এ বডি ওর্ন ক্যামেরা থাকছে। অনেক সময় অনেকেই পুলিশকে মিসগাইড করা হয়। এ ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

এদিকে নগরীর যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝেও ২২টি বডি ওর্ন ক্যামেরা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার টাইগারপাস মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্টদের এসব ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত