ফেনীতে নারীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ৫৬
Thumbnail image

ফেনীর দাগনভূঞায় নিজের ঘরে পড়ে ছিল মমতাজ বেগম নামের এক নারীর মরদেহ। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। গতকাল বুধবার রাতে জয়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহীগুনী গ্রামের ছেরাজ মিয়ার বাড়িতে নিহতের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত পারুল আক্তার প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী এবং জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন। 

ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বুধবার রাতের কোনো এক সময়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায় স্বর্ণের চেইন, হাতে স্বর্ণের বালা এবং কানে স্বর্ণের দুল আছে। প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যা বলেই তদন্তের কাজ চলছে। পারিবারিকভাবে নিহতের সন্তানেরা পূর্বশত্রুতার কথা জানিয়েছেন। পুলিশের অন্যান্য টিম তদন্তে কাজ করছে। দ্রুত রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মমতাজ বেগমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বুধবার রাতে মমতাজ বেগম একা ছিলেন ঘরে। ছেলেরা কর্মস্থলে এবং মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। নিহতের বড় ছেলের বউ ছিলেন তাঁর বাবার বাড়িতে। 

নিহতের কাতারপ্রবাসী ছেলে মেহেদী হাসান তুহিন বুধবার রাতে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বারবার মোবাইল ফোনে কল করে না পেয়ে চাচাতো ভাই রজিনুল কবিরকে খবর দেন। কবির ঘরে এসে দেখতে পান মমতাজ বেগম মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। বিষয়টি ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসানকে জানালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরান হোসেনকে খবর দেন তিনি। ইমরান হোসেন ঘটনার কথা জানান দাগনভূঞা থানাকে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। 

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, পূর্বশত্রুতা জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত