রুবেলের স্বপ্ন আর পূরণ হলো না

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, ১৭: ০০
Thumbnail image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নোয়াখালীর কবিরহাটের গোলাম আজিম রুবেল (২৪)। ওই দেশে যাওয়ার জন্য লিবিয়ার বেনগাজি শহরে সাতজন বাংলাদেশির সঙ্গে অবস্থান করছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। ইতালি যাওয়ার আগে লিবিয়া পুলিশের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে দোতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন রুবেল।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রুবেলের সঙ্গে থাকা আত্মীয় পারভেজ ছাদ থেকে পড়ে রুবেলের মৃত্যুর খবর মোবাইল ফোনে পরিবারকে জানান। এর আগে বাংলাদেশ সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে বেনগাজি শহরের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। রুবেল কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের পূর্ব লামছি প্রসাদ গ্রামের মজিদের হাট এলাকার গোলাম কিবরিয়ার ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রুবেল ছিলেন তৃতীয়।

নিহত রুবেলের বাবা গোলাম কিবরিয়া জানান, দেশে চাকরি না পাওয়ার কারণে বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন রুবেল। পরিবারের ইচ্ছে না থাকলেও জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে আট মাস আগে দুবাইয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রুবেল। দুবাই গিয়ে কয়েক দিন থাকার পর সেখান থেকে লিবিয়া যান তিনি। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রুবেলের সঙ্গে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের আরও তিন যুবক ছিলেন। তাঁরা মোট আটজন ইতালি যাওয়ার জন্য লিবিয়ার বেনগাজি শহরের একটি বাসায় অবস্থান করেন। 

দেড় মাস আগে বেনগাজি শহরের একটি বাসায় লিবিয়া পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রুবেলসহ কয়েকজনকে আটক করে। পরবর্তীকালে টাকা দিয়ে তাঁরা ছাড়া পান বলে জানান রুবেলের বাবা গোলাম কিবরিয়া। তিনি আরও জানান, গতকাল রাতে আবারও লিবিয়া পুলিশ ওই বাসায় তল্লাশি চালালে রুবেলসহ অন্যরা বিভিন্ন স্থানে পালানোর চেষ্টা করেন। রুবেল দোতলা ভবনের ছাদে গিয়ে পাশের সিলিং ধরে ঝুলে থেকে পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ ঝুলে থাকার পর নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি।

রুবেলের ফুপাতো ভাই রবিন জানান, লিবিয়ায় থাকা রুবেলের চাচা ও চাচাতো ভাইদের সহযোগিতায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। রুবেলের মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এদিকে রুবেলকে হারিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন রুবেলের মা সাদিয়া খাতুন, বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তাঁর বাবা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত