মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের সাধুপাড়া শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মানিকছড়ি থানায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন উপপরিদর্শক সুমন কান্তি দে। তিনি বলেন, ‘সাধুপাড়া এলাকায় একটি বড় টিলারের একপাশে রয়েছে শ্মশান। এর কিছু জায়গা নিয়ে শ্মশান কমিটি ও কমিটির সাবেক সভাপতি মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে।’
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাটনাতলী ইউনিয়নের সাধুপাড়া, সাধনাপাড়া, পাঞ্জাপ্রু পাড়া ও পতিরাম পাড়ায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের আদি বসবাস। এই চার গ্রামের একমাত্র শতবর্ষী শ্মশানটি সাধু পাড়া গ্রামে অবস্থিত। শ্মশান পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সাধন কুমার ত্রিপুরা দায়িত্বে থাকার সময়ে (১৯৮০-১৯৮৫) শ্মশান টিলার অনেকাংশ নিজের দখলে নেন। এ নিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে দখলকারী ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। এই কারণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ শ্মশানের জমি দখলের প্রতিবাদে গতকাল থানায় এসে প্রতিকার চেয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কোনো মানুষ মারা গেলে সৎকারের সময় শ্মশানের জায়গা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৯৮০-১৯৮৫ সময়ে শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন সাধন কুমার ত্রিপুরা। সেই সময় শ্মশান টিলার একাংশের রেকর্ডপত্র নিজের নামে করেন সাধন কুমার ত্রিপুরা।
সাধু পাড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শ্মশান পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘সাধু পাড়া শতবর্ষী শ্মশান টিলায় অনেকাংশ সাবেক সভাপতি নিজ নামে জবরদখল করেন। বর্তমানে আনুমানিক ২ একরের জায়গায় সৎকার হয়। টিলার মধ্যখানের আরও প্রায় সাড়ে ৩ একর খালি জায়গায় সম্প্রতি দাহক্রিয়া করতে গেলে সাধন কুমার ত্রিপুরা বাধা দেওয়ায় বিরোধ দেখা দিয়েছে। সাধন কুমার ত্রিপুরা শ্মশানের জায়গা দখলে নেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে গত ২১ জুলাই আমাদের (প্রতিবাদকারীরা) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন সাধন কুমার ত্রিপুরা।’
এদিকে সাধন কুমার ত্রিপুরার অভিযোগে শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা ও সম্পাদক নির্মল কান্তি ত্রিপুরাসহ কয়েকজনকে আজ শনিবার থানায় ডেকে পাঠালে শতাধিক নারী, পুরুষ দলবেঁধে এসে সাধন কুমার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে শ্মশানে জায়গা জবরদখলের পাল্টা অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মহরম আলী, চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আজগর হোসেনের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় খুব শিগগিরই উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় আমিন (ভূমি-মাপক) নিয়ে জায়গা মেপে সমানভাবে বণ্টন করা হবে বলে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে।
সাধন কুমার ত্রিপুরা শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শ্মশানে পূর্ব নির্ধারিত জায়গা থাকা সত্ত্বেও আমার ভোগ-দখলীয় জায়গায় শ্মশান কমিটি অহেতুক হস্তক্ষেপ করতে বারবার ঝামেলা করে। এরপরও সামাজিক ও ধর্মীয় স্বার্থে সহনশীল সমাধানে আমি একমত।’
বাটনাতলী ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘সাধুপাড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শ্মশান নিয়ে দীর্ঘদিনের ঝামেলা সুরাহায় ইতিপূর্বে অনেক চেষ্টা হলেও সমাধান করা যায়নি। এবার পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি স্থায়ী সুরাহা করার চেষ্টা করব।’
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের সাধুপাড়া শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মানিকছড়ি থানায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন উপপরিদর্শক সুমন কান্তি দে। তিনি বলেন, ‘সাধুপাড়া এলাকায় একটি বড় টিলারের একপাশে রয়েছে শ্মশান। এর কিছু জায়গা নিয়ে শ্মশান কমিটি ও কমিটির সাবেক সভাপতি মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে।’
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাটনাতলী ইউনিয়নের সাধুপাড়া, সাধনাপাড়া, পাঞ্জাপ্রু পাড়া ও পতিরাম পাড়ায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের আদি বসবাস। এই চার গ্রামের একমাত্র শতবর্ষী শ্মশানটি সাধু পাড়া গ্রামে অবস্থিত। শ্মশান পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সাধন কুমার ত্রিপুরা দায়িত্বে থাকার সময়ে (১৯৮০-১৯৮৫) শ্মশান টিলার অনেকাংশ নিজের দখলে নেন। এ নিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে দখলকারী ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। এই কারণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ শ্মশানের জমি দখলের প্রতিবাদে গতকাল থানায় এসে প্রতিকার চেয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কোনো মানুষ মারা গেলে সৎকারের সময় শ্মশানের জায়গা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৯৮০-১৯৮৫ সময়ে শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন সাধন কুমার ত্রিপুরা। সেই সময় শ্মশান টিলার একাংশের রেকর্ডপত্র নিজের নামে করেন সাধন কুমার ত্রিপুরা।
সাধু পাড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শ্মশান পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘সাধু পাড়া শতবর্ষী শ্মশান টিলায় অনেকাংশ সাবেক সভাপতি নিজ নামে জবরদখল করেন। বর্তমানে আনুমানিক ২ একরের জায়গায় সৎকার হয়। টিলার মধ্যখানের আরও প্রায় সাড়ে ৩ একর খালি জায়গায় সম্প্রতি দাহক্রিয়া করতে গেলে সাধন কুমার ত্রিপুরা বাধা দেওয়ায় বিরোধ দেখা দিয়েছে। সাধন কুমার ত্রিপুরা শ্মশানের জায়গা দখলে নেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে গত ২১ জুলাই আমাদের (প্রতিবাদকারীরা) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন সাধন কুমার ত্রিপুরা।’
এদিকে সাধন কুমার ত্রিপুরার অভিযোগে শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা ও সম্পাদক নির্মল কান্তি ত্রিপুরাসহ কয়েকজনকে আজ শনিবার থানায় ডেকে পাঠালে শতাধিক নারী, পুরুষ দলবেঁধে এসে সাধন কুমার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে শ্মশানে জায়গা জবরদখলের পাল্টা অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মহরম আলী, চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আজগর হোসেনের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় খুব শিগগিরই উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় আমিন (ভূমি-মাপক) নিয়ে জায়গা মেপে সমানভাবে বণ্টন করা হবে বলে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে।
সাধন কুমার ত্রিপুরা শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শ্মশানে পূর্ব নির্ধারিত জায়গা থাকা সত্ত্বেও আমার ভোগ-দখলীয় জায়গায় শ্মশান কমিটি অহেতুক হস্তক্ষেপ করতে বারবার ঝামেলা করে। এরপরও সামাজিক ও ধর্মীয় স্বার্থে সহনশীল সমাধানে আমি একমত।’
বাটনাতলী ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘সাধুপাড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শ্মশান নিয়ে দীর্ঘদিনের ঝামেলা সুরাহায় ইতিপূর্বে অনেক চেষ্টা হলেও সমাধান করা যায়নি। এবার পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি স্থায়ী সুরাহা করার চেষ্টা করব।’
গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শফিউল ইসলামের ঘুষ চাওয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওই প্রকৌশলীকে প্রকল্পের টাকা ছাড়ে এক ঠিকাদারের কাছে ৬ শতাংশ ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি দখলের মহোৎসব চলছে। ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬০ মিটার সেতুর দুই পাড়ের অধিকাংশ জমি এরই মধ্যে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঘর ও দোকান। সেসব ভাড়া দিয়ে টাকা নিচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী।
৪ ঘণ্টা আগে‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
৫ ঘণ্টা আগে