Ajker Patrika

আরসার ‘অস্ত্র জোগানদাতা’কে নিরীহ দাবি আওয়ামী লীগ নেতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আরসার ‘অস্ত্র জোগানদাতা’কে নিরীহ দাবি আওয়ামী লীগ নেতার

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সক্রিয় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র জোগান দেওয়ার অভিযোগে নাসির উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার মধ্যরাতে জেলার চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া এলাকার দুর্গম চিংড়ি ঘেরে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব তাঁকে আটক করে। এ সময় দুটি কার্তুজ ও দুটি এলজি বন্দুক উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের দাবি, আটক নাসির উদ্দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে আরসা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের জোগান দিতেন। তিনি চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে যে ঘের থেকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘেরের মালিক মাতামুহুরি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তবে আওয়ামী লীগের এই নেতার দাবি, নাসির উদ্দিন একজন নিরীহ যুবক। তিনি কোনোভাবেই অস্ত্র ব্যবসায়ী হতে পারেন না।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই অভিযোগে চকরিয়া থেকে অস্ত্রসহ তিনজন এবং কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া থেকে তিনটি অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছিল র‍্যাব।

কক্সবাজার র‍্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী আজ সোমবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গোপনে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে আসছেন। এই অস্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তারা অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়ার ইলিশিয়া চিংড়ি ঘেরে অভিযান চালিয়ে দুটি তাজা কার্তুজ, দুটি এলজি বন্দুকসহ নাসির উদ্দিনকে আটক করা হয়। ওই চিংড়ি ঘেরের চারপাশে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে এবং সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহার করে নিরাপদে অস্ত্র ব্যবসা পরিচালিত করা হচ্ছে, যার প্রমাণ অভিযানকালে পাওয়া গেছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবু সালাম চৌধুরী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন স্বীকার করেছেন। তাঁকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ঘেরে কোনো অস্ত্র ছিল না। ঘেরটিতে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ঘেরের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে গেছে র‍্যাব। হার্ডডিস্ক চেক করলেই বিষয়টি ধরা পড়বে। তিনি দাবি করেন, ‘নাসির একজন ভালো ও শান্তশিষ্ট ছেলে। সে কোনোভাবেই অস্ত্র ব্যবসায়ী হতে পারে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত