মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মিরসরাই উপজেলায় ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্ক্রিন। এর মধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ধরা পড়েছে রোগটি।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলায় বিগত কয়েক বছরে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে গবাদিপশুর খামার। চাকরির পেছনে না ঘুরে অনেকেই সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ উদ্যোগে গবাদিপশুর খামার গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এদের মধ্যে তরুণ উদ্যোক্তারাই বেশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে দুটি ইউনিয়নের চারটি গরু মারা গেছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার টিকা প্রয়োজন হলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে ২ হাজার ৮ শত টিকা। এতে নতুন রোগটি আসার পর পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
গরুর গোবর নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও মেঝে স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে সেখানে মশার মতো ছোট ছোট পোকা জন্ম নেয়। ওই পোকাগুলো গরুর শরীরে যেখানে কামড় দেয় সেখানে ফুলে চাকা চাকা হয়ে যায়। যা লাম্পি স্ক্রিন রোগ নামে পরিচিত। অনেক সময় তা ফেটে রক্ত বের হয়, আবার চামড়াও ফুটো হয়ে যায়। এ পোকাগুলো লাম্পি স্ক্রিন রোগে আক্রান্ত গরুকে কামড় দিয়ে অন্য কোনো গুরুকে কামড় দিলে তাদের মধ্যেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বৎসরে সঠিক সময়ে একবার গবাদিপশুকে টিকা না দেওয়ায় ভাইরাসজনিত লাম্পি স্ক্রিন এ রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার খামারি পরিবারের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রথম শনাক্ত হয় গরুর লাম্পি স্ক্রিন রোগ। সে বছর মিরসরাই উপজেলায় ১০ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। মাঝে এক বছর বিরতি দিয়ে উপজেলায় এ বছর আবার দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্ক্রিন রোগ। এর মধ্যে উপজেলার মায়ানী, মঘাদিয়া, মিঠানালা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। গত ১৫ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মঘাদিয়া ইউনিয়নে দু’টি ও মিঠানালা ইউনিয়নে দু’টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ায় কৃষক ও খামিরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা রোগটির বিস্তার রোধে মিরসরাই উপজেলায় মাঠপর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণার কাজ করেছেন।
উপজেলার মঘাদিয়া ও মিঠানালা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতেই এ রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করাচ্ছেন গরুর মালিকেরা। যাদের গরু আক্রান্ত হয়নি, তাঁরা গরুর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মিঠানালা ইউনিয়নের মধ্যম মুরাদপুর গ্রামের কৃষক মো. আবুল বাশার বলেন, 'লাভের আশায় একটি ষাঁড় পালন করেছি। গত ১৬ অক্টোবর লাম্পি স্ক্রিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ১ লাখ টাকা দামের গরুটি মারা গেছে।'
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, 'খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে এ রোগ ছড়ায় কম। লাম্পি স্ক্রিন রোগ নিরাময়ের জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষক ও খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি আমরা। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি করে টিম এ নিয়ে কাজ করছে। প্রায় ৬ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলায় বর্তমানে ১৮ হাজার টিকা প্রয়োজন। আমরা জেলা অফিসের মাধ্যমে অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। এ পর্যন্ত দুই ধাপে ২ হাজার ৮’ শত টিকা পেয়েছি।'
মিরসরাই উপজেলায় ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্ক্রিন। এর মধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ধরা পড়েছে রোগটি।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলায় বিগত কয়েক বছরে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে গবাদিপশুর খামার। চাকরির পেছনে না ঘুরে অনেকেই সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ উদ্যোগে গবাদিপশুর খামার গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এদের মধ্যে তরুণ উদ্যোক্তারাই বেশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে দুটি ইউনিয়নের চারটি গরু মারা গেছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার টিকা প্রয়োজন হলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে ২ হাজার ৮ শত টিকা। এতে নতুন রোগটি আসার পর পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
গরুর গোবর নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও মেঝে স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে সেখানে মশার মতো ছোট ছোট পোকা জন্ম নেয়। ওই পোকাগুলো গরুর শরীরে যেখানে কামড় দেয় সেখানে ফুলে চাকা চাকা হয়ে যায়। যা লাম্পি স্ক্রিন রোগ নামে পরিচিত। অনেক সময় তা ফেটে রক্ত বের হয়, আবার চামড়াও ফুটো হয়ে যায়। এ পোকাগুলো লাম্পি স্ক্রিন রোগে আক্রান্ত গরুকে কামড় দিয়ে অন্য কোনো গুরুকে কামড় দিলে তাদের মধ্যেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বৎসরে সঠিক সময়ে একবার গবাদিপশুকে টিকা না দেওয়ায় ভাইরাসজনিত লাম্পি স্ক্রিন এ রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার খামারি পরিবারের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রথম শনাক্ত হয় গরুর লাম্পি স্ক্রিন রোগ। সে বছর মিরসরাই উপজেলায় ১০ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। মাঝে এক বছর বিরতি দিয়ে উপজেলায় এ বছর আবার দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্ক্রিন রোগ। এর মধ্যে উপজেলার মায়ানী, মঘাদিয়া, মিঠানালা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। গত ১৫ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মঘাদিয়া ইউনিয়নে দু’টি ও মিঠানালা ইউনিয়নে দু’টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ায় কৃষক ও খামিরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা রোগটির বিস্তার রোধে মিরসরাই উপজেলায় মাঠপর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণার কাজ করেছেন।
উপজেলার মঘাদিয়া ও মিঠানালা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতেই এ রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করাচ্ছেন গরুর মালিকেরা। যাদের গরু আক্রান্ত হয়নি, তাঁরা গরুর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মিঠানালা ইউনিয়নের মধ্যম মুরাদপুর গ্রামের কৃষক মো. আবুল বাশার বলেন, 'লাভের আশায় একটি ষাঁড় পালন করেছি। গত ১৬ অক্টোবর লাম্পি স্ক্রিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ১ লাখ টাকা দামের গরুটি মারা গেছে।'
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, 'খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে এ রোগ ছড়ায় কম। লাম্পি স্ক্রিন রোগ নিরাময়ের জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষক ও খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি আমরা। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি করে টিম এ নিয়ে কাজ করছে। প্রায় ৬ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলায় বর্তমানে ১৮ হাজার টিকা প্রয়োজন। আমরা জেলা অফিসের মাধ্যমে অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। এ পর্যন্ত দুই ধাপে ২ হাজার ৮’ শত টিকা পেয়েছি।'
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে