Ajker Patrika

কম্বিং অপারেশনের প্রতিবাদে বান্দরবানের যান চলাচলে কেএনএফের নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবান প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪: ২১
কম্বিং অপারেশনের প্রতিবাদে বান্দরবানের যান চলাচলে কেএনএফের নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সব ধরনের যান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। 

সশস্ত্র সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কেএনএফ এর সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এর ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং আজ সোমবার সকালে এই বার্তা প্রদান করেন। 

বার্তায় বলা হয়, সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা সমূহের সকল ধরনের যান চলাচলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সকল গাড়ি সমিতির জন্য এই সতর্কবার্তা। জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী প্রত্যেক যানবাহনের সমিতি ও মালিকগণ তাদের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্যের জন্য দায়ী থাকবে। 

যানচলাচল বন্ধের কারণ হিসাবে কেএনএফ দাবি করে, শান্তির আলোচনাকে তোয়াক্কা না করে সমঝোতা চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান। সেই প্রেক্ষিতেই কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে কম্বিং অপারেশনের নামে নিরীহ জনগণকে আটক করছে, কেএনএফ-এ’র নামে নিরীহ জনগণকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে। এর প্রতিবাদ হিসেবে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা সমূহের সকল যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

বার্তায় আরও বলা হয়, কেএনএ’র আর্মড ক্যাডারদের প্রত্যেকজনকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে এই অভিযান মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো, আর এবারের অবৈধভাবে পাহাড়ে চলমান যৌথ বাহিনীর অপারেশন ঠেকাতে কেএনএ’র কমান্ডোরা সর্বদা প্রস্তুত। এরই সাথে যান চলাচলে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সশস্ত্র উইংকে নির্দেশ দেওয়া হলো। 

এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।

নিরাপত্তায় কতজন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে জানতে চাইলে জবাবে রায়হান কাজেমী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দ্রুত আপনাদের জানাব।’ 

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার সতেরো ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত