নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেল ব্যবস্থাপনায় বড় তিন চ্যালেঞ্জকে সামনে রাখা হয়েছে। এগুলো মোকাবিলায় নিখুঁত ব্যবস্থাপনা শেষে যান চলাচলের জন্য টানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে ২৯ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে টানেলের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধের মতো বিষয়।
অগ্নিকাণ্ড
টানেলের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে টিউবে আগুন লাগুক, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দুই পাশের চার গেটই বন্ধ করা হবে। দ্রুততার সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি দুই প্রান্তে থাকা ডিজিটাল মেসেজ বোর্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এন্ট্রি বক্সের আগেই আটকে দেওয়া হবে যানবাহন। টানেলের মধ্যে প্রায় ৬৫০ মিটার পরপর তিনটি ক্রস প্যাসেজ রয়েছে। অর্থাৎ একটি টিউব থেকে আরেকটি টিউবে যাওয়ার পথ রাখা হয়েছে। লোকজন যদি ক্রস প্যাসেজের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে দ্রুত অন্য টিউবে চলে গিয়ে হেঁটে টানেলের যেকোনো প্রান্তে উঠে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা জানান, টিউবে গাড়ি চলাচলের জন্য সড়ক বানানো হয়েছে। সড়কের ওপরের অংশ খালি এবং নিচের অংশে রয়েছে দুটি বিশেষ চ্যানেল। একটি দিয়ে ড্রেনেজের ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন ধরনের কেব্ল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরেকটি চ্যানেল পুরোপুরি ফাঁকা রয়েছে। এই চ্যানেলে লোকজন চলাচল করতে পারেন। টানেলের ভেতরে সড়ক থেকে এই চ্যানেলে নামতে ৮০ মিটার পরপর জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা রয়েছে।
কোথাও অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে কাছে যদি ক্রস প্যাসেজ না-ও থাকে, তাহলে লোকজন এই চ্যানেলে নেমে যাবেন। এরপর চ্যানেলটি দিয়েই টানেলের যেকোনো প্রান্তে নিরাপদে উঠে যেতে পারবেন। আগুন নেভানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে ৫০ মিটার পরপর ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রেসপন্স দল আছে।
একই দূরত্বে ফায়ার হোসপাইপ রয়েছে। যেখান থেকে পানি ছিটিয়ে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ করবে এই রেসপন্স দল। এ কারণে টানেলের দুই প্রান্তে দুটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। ছোটখাটো আগুন হলে প্রথমে সিসিসিসি কর্তৃপক্ষ নিজেরা কন্ট্রোল করবে। আগুন যদি বড় ধরনের হয়, তাহলে ফায়ার স্টেশন ও পুলিশকে ডাকা হবে।
সে জন্য টানেলের দুই প্রান্তে একটি করে পুলিশ ফাঁড়িও স্থাপন করা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে টানেলের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এভাবে মেইনটেন্যান্স (পরিচালনা) করবে। সেতু কর্তৃপক্ষ শুধু কাজের মান ঠিক আছে কি না, তদারকি করবে। এদিকে টানেলের ভেতরে আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়া বের করে দেওয়ার জন্য ১৫০ মিটার পরপর ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা (বড় এগজস্ট ফ্যান) রয়েছে।
কীভাবে আগুনের বিষয়টি দ্রুত নজরে আসবে? এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে তানভীর রিফা জানান, টানেলের ভেতরে প্রতিটি টিউবের (দুটি টিউব) ওপরে একটি বিশেষ হিট সেন্সরের তার রয়েছে। কোথাও অতিরিক্ত তাপ (অগ্নিকাণ্ড) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিট সেন্সর অতিরিক্ত তাপের স্থান শনাক্ত করবে। টানেলে থাকা অটোমেটিক সিসিটিভি ক্যামেরা ওই সময় দ্রুত অগ্নিকাণ্ডের স্পটের দিকে ঘুরে যাবে। দেখিয়ে দেবে ঠিক কোন স্থানটায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এরপর আনোয়ারা অংশে থাকা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসের মনিটরিং রুম থেকে দ্রুত রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।
সড়ক দুর্ঘটনা বা বিপত্তি
যানবাহন-সংক্রান্ত দুর্ঘটনা কিংবা গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুই লেনের সড়কে (এক টিউব) ঘটনাস্থলের লেন বাদ দিয়ে অন্য লেনে গাড়ি চলাচল করবে। আবার যদি দুর্ঘটনা বড় হয়, সে ক্ষেত্রে দুটি লেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। দুর্ঘটনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই পাড়ে থাকা ডিজিটাল মেসেজ বোর্ডে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে এন্ট্রি গেটের আগেই যানবাহন আটকে দেওয়া হবে। যেকোনো দুর্ঘটনা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে সিসিসিসির প্যাট্রল দল থাকবে ২৪ ঘণ্টা। যদি টানেলের ভেতরে মানুষ আটকে যায়, তাহলে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে বেরিয়ে যাবে।
বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস
টানেলে যেকোনো পরিস্থিতিতে পানি না ঢোকার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ জন্য টানেলের দুই টিউবের চার মুখে বসানো হয়েছে ফ্লাড (বন্যা) গেট। চীন থেকে এসব ফ্লাড গেট আনা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ দশমিক ৮ মিটার উচ্চতায় পানি ওঠার আশঙ্কা তৈরি হলে ফ্লাড গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এয়ার টাইট এসব ফ্লাড গেট বন্ধ করে দিলে আর পানি ঢুকতে পারবে না। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় ফ্লাড গেটগুলো বন্ধ রাখা হয় অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে। যদিও বন্ধ রাখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি তখন। এভাবে টানেল থাকবে সুরক্ষিত।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাড গেটগুলো উল্লিখিত উচ্চতার চেয়ে আরও অনেক বেশি পানির চাপ সহ্য করার সক্ষমতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে ১০০ বছরের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের হিসাব-নিকাশ।
বিদ্যুতায়ন
শুধু টানেলকেন্দ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক রাখতে এক প্রান্তে ১৫ মেগাওয়াট করে দুই প্রান্তে ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পিডিবি) শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সাবস্টেশন নির্মাণ ও মেইনটেন্যান্সসহ বাকি সব কাজ চীনারা করছে। টানেলের বাইরে ২০ মিটার পরপর লাইটপোস্ট লাগানো হয়েছে।
টানেলের ভেতর আলোকিত করছে এলইডি ও হাইপ্রেশার সোডিয়াম লাইট। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো আড়াইটা টানেলে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব। ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ হাজার ৩৩ টাকার স্বপ্নের এই বঙ্গবন্ধু টানেল এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানালেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে টানেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিষয়কেন্দ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মহড়া সম্পন্ন করেছি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা কোনো ত্রুটি রাখিনি।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেল ব্যবস্থাপনায় বড় তিন চ্যালেঞ্জকে সামনে রাখা হয়েছে। এগুলো মোকাবিলায় নিখুঁত ব্যবস্থাপনা শেষে যান চলাচলের জন্য টানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে ২৯ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে টানেলের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধের মতো বিষয়।
অগ্নিকাণ্ড
টানেলের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে টিউবে আগুন লাগুক, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দুই পাশের চার গেটই বন্ধ করা হবে। দ্রুততার সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি দুই প্রান্তে থাকা ডিজিটাল মেসেজ বোর্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এন্ট্রি বক্সের আগেই আটকে দেওয়া হবে যানবাহন। টানেলের মধ্যে প্রায় ৬৫০ মিটার পরপর তিনটি ক্রস প্যাসেজ রয়েছে। অর্থাৎ একটি টিউব থেকে আরেকটি টিউবে যাওয়ার পথ রাখা হয়েছে। লোকজন যদি ক্রস প্যাসেজের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে দ্রুত অন্য টিউবে চলে গিয়ে হেঁটে টানেলের যেকোনো প্রান্তে উঠে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা জানান, টিউবে গাড়ি চলাচলের জন্য সড়ক বানানো হয়েছে। সড়কের ওপরের অংশ খালি এবং নিচের অংশে রয়েছে দুটি বিশেষ চ্যানেল। একটি দিয়ে ড্রেনেজের ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন ধরনের কেব্ল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরেকটি চ্যানেল পুরোপুরি ফাঁকা রয়েছে। এই চ্যানেলে লোকজন চলাচল করতে পারেন। টানেলের ভেতরে সড়ক থেকে এই চ্যানেলে নামতে ৮০ মিটার পরপর জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা রয়েছে।
কোথাও অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে কাছে যদি ক্রস প্যাসেজ না-ও থাকে, তাহলে লোকজন এই চ্যানেলে নেমে যাবেন। এরপর চ্যানেলটি দিয়েই টানেলের যেকোনো প্রান্তে নিরাপদে উঠে যেতে পারবেন। আগুন নেভানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে ৫০ মিটার পরপর ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রেসপন্স দল আছে।
একই দূরত্বে ফায়ার হোসপাইপ রয়েছে। যেখান থেকে পানি ছিটিয়ে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ করবে এই রেসপন্স দল। এ কারণে টানেলের দুই প্রান্তে দুটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। ছোটখাটো আগুন হলে প্রথমে সিসিসিসি কর্তৃপক্ষ নিজেরা কন্ট্রোল করবে। আগুন যদি বড় ধরনের হয়, তাহলে ফায়ার স্টেশন ও পুলিশকে ডাকা হবে।
সে জন্য টানেলের দুই প্রান্তে একটি করে পুলিশ ফাঁড়িও স্থাপন করা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে টানেলের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এভাবে মেইনটেন্যান্স (পরিচালনা) করবে। সেতু কর্তৃপক্ষ শুধু কাজের মান ঠিক আছে কি না, তদারকি করবে। এদিকে টানেলের ভেতরে আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়া বের করে দেওয়ার জন্য ১৫০ মিটার পরপর ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা (বড় এগজস্ট ফ্যান) রয়েছে।
কীভাবে আগুনের বিষয়টি দ্রুত নজরে আসবে? এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে তানভীর রিফা জানান, টানেলের ভেতরে প্রতিটি টিউবের (দুটি টিউব) ওপরে একটি বিশেষ হিট সেন্সরের তার রয়েছে। কোথাও অতিরিক্ত তাপ (অগ্নিকাণ্ড) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিট সেন্সর অতিরিক্ত তাপের স্থান শনাক্ত করবে। টানেলে থাকা অটোমেটিক সিসিটিভি ক্যামেরা ওই সময় দ্রুত অগ্নিকাণ্ডের স্পটের দিকে ঘুরে যাবে। দেখিয়ে দেবে ঠিক কোন স্থানটায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এরপর আনোয়ারা অংশে থাকা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসের মনিটরিং রুম থেকে দ্রুত রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।
সড়ক দুর্ঘটনা বা বিপত্তি
যানবাহন-সংক্রান্ত দুর্ঘটনা কিংবা গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুই লেনের সড়কে (এক টিউব) ঘটনাস্থলের লেন বাদ দিয়ে অন্য লেনে গাড়ি চলাচল করবে। আবার যদি দুর্ঘটনা বড় হয়, সে ক্ষেত্রে দুটি লেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। দুর্ঘটনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই পাড়ে থাকা ডিজিটাল মেসেজ বোর্ডে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে এন্ট্রি গেটের আগেই যানবাহন আটকে দেওয়া হবে। যেকোনো দুর্ঘটনা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে সিসিসিসির প্যাট্রল দল থাকবে ২৪ ঘণ্টা। যদি টানেলের ভেতরে মানুষ আটকে যায়, তাহলে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে বেরিয়ে যাবে।
বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস
টানেলে যেকোনো পরিস্থিতিতে পানি না ঢোকার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ জন্য টানেলের দুই টিউবের চার মুখে বসানো হয়েছে ফ্লাড (বন্যা) গেট। চীন থেকে এসব ফ্লাড গেট আনা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ দশমিক ৮ মিটার উচ্চতায় পানি ওঠার আশঙ্কা তৈরি হলে ফ্লাড গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এয়ার টাইট এসব ফ্লাড গেট বন্ধ করে দিলে আর পানি ঢুকতে পারবে না। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় ফ্লাড গেটগুলো বন্ধ রাখা হয় অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে। যদিও বন্ধ রাখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি তখন। এভাবে টানেল থাকবে সুরক্ষিত।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাড গেটগুলো উল্লিখিত উচ্চতার চেয়ে আরও অনেক বেশি পানির চাপ সহ্য করার সক্ষমতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে ১০০ বছরের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের হিসাব-নিকাশ।
বিদ্যুতায়ন
শুধু টানেলকেন্দ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক রাখতে এক প্রান্তে ১৫ মেগাওয়াট করে দুই প্রান্তে ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পিডিবি) শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সাবস্টেশন নির্মাণ ও মেইনটেন্যান্সসহ বাকি সব কাজ চীনারা করছে। টানেলের বাইরে ২০ মিটার পরপর লাইটপোস্ট লাগানো হয়েছে।
টানেলের ভেতর আলোকিত করছে এলইডি ও হাইপ্রেশার সোডিয়াম লাইট। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো আড়াইটা টানেলে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব। ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ হাজার ৩৩ টাকার স্বপ্নের এই বঙ্গবন্ধু টানেল এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানালেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে টানেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিষয়কেন্দ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মহড়া সম্পন্ন করেছি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা কোনো ত্রুটি রাখিনি।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৭ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
২৩ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
২৮ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
১ ঘণ্টা আগে