কুবির সংকট নিরসনে দুই কমিটি গঠন

কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ১৭: ০২

সাত দিন বন্ধ থাকার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে দুই সদস্যের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত আলাদা অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। 

এ ছাড়া এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। 

গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মারধরের ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্রকে আহ্বায়ক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরীকে সচিব করে আরেকটি পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। 

আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘একটি কমিটিতে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি আছে, অপর একটি কমিটিতে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিল। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি করা হয়নি। এ ব্যাপারে আমাদের সাধারণ সভা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটির তদন্ত কমিটিই পূর্ণাঙ্গ হয়নি, ৩০ তারিখের (৩০ এপ্রিল) কমিটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। ঘটনার যে সূত্রপাত সেখান থেকে শুরু না করে মাঝখান থেকে শুরু করা বিভ্রান্তিমূলক। আমাদের একটাই দাবি মাননীয় উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ। শিক্ষকদের ওপর হামলা করার মতো ঘটনার পর তিনি কোনোভাবেই উপাচার্য থাকতে পারেন না এবং সিন্ডিকেটে তার কোনো আইনগত অধিকার থাকে না।’ 

এর আগে ২৫ এপ্রিল ও ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে সংগঠিত ঘটনা তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি করা হয়। এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুন এবং সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি, যা নির্ধারিত হয়নি। 

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গত ১২ মার্চ ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে। এই ৭টি দাবি উপস্থাপনের জন্য প্রথমে ১৩ ও ১৪ মার্চ চূড়ান্ত পরীক্ষা বাদে সকল কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত আবার ক্লাস বর্জন করে। ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল আবারও ক্লাস বর্জন করে শিক্ষক সমিতি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত