মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
পছন্দের ঠিকাদার ও আত্মীয়স্বজনকে বেছে বেছে কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু রায়হানের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, কাজের সময় বৃদ্ধিতে হয়রানি ও অর্থ আদায়, ঠিকাদারকে দরপত্রের গোপন দর জানিয়ে দেওয়া, কর্মচারীদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে রায়হান ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা ও নাটোরে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। এ তিন জেলায়ও একই ধরনের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ঠিকাদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধনও করেছেন।
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে কক্সবাজারে বদলি হন রায়হান। পাউবো কক্সবাজার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব নেন। মাস দুয়েক পরই পছন্দের ঠিকাদার ও আত্মীয়স্বজন এনে কাজ দেওয়া শুরু করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথমে মোহাম্মদ তুহিন নামের ঝিনাইদহের এক ঠিকাদারকে কক্সবাজার নিয়ে আসেন রায়হান।
এই তুহিনকে সবাই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ভাগনে হিসেবে চেনেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নতকরণ প্রকল্পে গত বছর ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার চারটি খাল খননের কাজ পায় হাসিবুল হাসান নামে রংপুরের একটি প্রতিষ্ঠান। এই কাজ থেকে ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকার টেকনাফের রঙ্গিখালী খালের তিন কিলোমিটার কাজের একটি অংশ তুহিনকে দেওয়া হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠতার সূত্রে এই কাজের একটি অংশ তুহিনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তিনি কাজও শেষ করেছেন। গত জানুয়ারি মাসে তুহিনকে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিলে মাতামুহুরী নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ৮০ মিটার কাজ দেওয়া হয়। একই সময়ে বান্দরবান পাউবোর অধীনে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী এলাকায় ৮০ লাখ টাকার দুই প্যাকেজের বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ পান তুহিন।
একটি খাল খনন ও কয়েকটি কাজ করার কথা স্বীকার করেন তুহিন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাঁর মামা কি না জানতে চাইলে তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কক্সবাজারে দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজ ভাগিয়ে নেন প্রকৌশলী আলমগীর হোসাইন ও টিটু নামের দুজন ঠিকাদার। এদের মধ্যে আলমগীর রায়হানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তিনি ইউনাইটেড ব্রাদার্সের নামে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধে সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষায় জিওব্যাগ বসানোর কাজ পান। দুটি প্যাকেজে প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকার কাজ পান তিনি। কার্যাদেশ অনুযায়ী, গত মাসের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে আগামী ২৯ জুনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা থাকলেও এই ঠিকাদারের কোনো খবর নেই।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বন্ধু কি না—এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিকাদার, সেখানে এই আমার পরিচয়।’
কয়েক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, কোনো কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় বর্ধিত করলেই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। না দিলে তিনি নানাভাবে হয়রানি করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নতকরণ প্রকল্পে ৬১ দশমিক ৭৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং এইচবিবি সড়ক নির্মাণ, ১৫ কিলোমিটার খাল খনন ও পানি নিষ্কাশনের ৩৬৮ কোটি টাকার কাজ চলমান। এই প্রকল্পে আগে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি নির্বাহী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলি হলে মাসখানেক আগে রায়হান তদবির করে নিজেই এ দায়িত্ব নেন। ঠিকাদাররা মনে করছেন, তিনি এ প্রকল্পেও নিজের লোকদের কাজ দেওয়ার জন্য পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রায়হান বলেন, ‘নতুন নির্বাহী প্রকৌশলীকে পিডি (প্রকল্প পরিচালক) করার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে আমাকেই পিডি নিয়োগ করা হয়েছে।’ তাঁর কোনো ভাগনে বা নিকটাত্মীয় ঠিকাদারিতে যুক্ত নেই জানিয়ে রায়হান বলেন, ‘ঠিকাদারেরা কত কিছু বলে! চাকরিজীবনে তা শুনে শুনে আসছি। আমি যোগদানের পরে কেউ দরপত্রে অংশ নিলে তো করার কিছু নেই।’
পছন্দের ঠিকাদার ও আত্মীয়স্বজনকে বেছে বেছে কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু রায়হানের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, কাজের সময় বৃদ্ধিতে হয়রানি ও অর্থ আদায়, ঠিকাদারকে দরপত্রের গোপন দর জানিয়ে দেওয়া, কর্মচারীদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে রায়হান ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা ও নাটোরে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। এ তিন জেলায়ও একই ধরনের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ঠিকাদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধনও করেছেন।
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে কক্সবাজারে বদলি হন রায়হান। পাউবো কক্সবাজার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব নেন। মাস দুয়েক পরই পছন্দের ঠিকাদার ও আত্মীয়স্বজন এনে কাজ দেওয়া শুরু করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথমে মোহাম্মদ তুহিন নামের ঝিনাইদহের এক ঠিকাদারকে কক্সবাজার নিয়ে আসেন রায়হান।
এই তুহিনকে সবাই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ভাগনে হিসেবে চেনেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নতকরণ প্রকল্পে গত বছর ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার চারটি খাল খননের কাজ পায় হাসিবুল হাসান নামে রংপুরের একটি প্রতিষ্ঠান। এই কাজ থেকে ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকার টেকনাফের রঙ্গিখালী খালের তিন কিলোমিটার কাজের একটি অংশ তুহিনকে দেওয়া হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠতার সূত্রে এই কাজের একটি অংশ তুহিনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তিনি কাজও শেষ করেছেন। গত জানুয়ারি মাসে তুহিনকে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিলে মাতামুহুরী নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ৮০ মিটার কাজ দেওয়া হয়। একই সময়ে বান্দরবান পাউবোর অধীনে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী এলাকায় ৮০ লাখ টাকার দুই প্যাকেজের বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ পান তুহিন।
একটি খাল খনন ও কয়েকটি কাজ করার কথা স্বীকার করেন তুহিন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাঁর মামা কি না জানতে চাইলে তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কক্সবাজারে দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজ ভাগিয়ে নেন প্রকৌশলী আলমগীর হোসাইন ও টিটু নামের দুজন ঠিকাদার। এদের মধ্যে আলমগীর রায়হানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তিনি ইউনাইটেড ব্রাদার্সের নামে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধে সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষায় জিওব্যাগ বসানোর কাজ পান। দুটি প্যাকেজে প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকার কাজ পান তিনি। কার্যাদেশ অনুযায়ী, গত মাসের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে আগামী ২৯ জুনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা থাকলেও এই ঠিকাদারের কোনো খবর নেই।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বন্ধু কি না—এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিকাদার, সেখানে এই আমার পরিচয়।’
কয়েক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, কোনো কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় বর্ধিত করলেই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। না দিলে তিনি নানাভাবে হয়রানি করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নতকরণ প্রকল্পে ৬১ দশমিক ৭৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং এইচবিবি সড়ক নির্মাণ, ১৫ কিলোমিটার খাল খনন ও পানি নিষ্কাশনের ৩৬৮ কোটি টাকার কাজ চলমান। এই প্রকল্পে আগে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি নির্বাহী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলি হলে মাসখানেক আগে রায়হান তদবির করে নিজেই এ দায়িত্ব নেন। ঠিকাদাররা মনে করছেন, তিনি এ প্রকল্পেও নিজের লোকদের কাজ দেওয়ার জন্য পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রায়হান বলেন, ‘নতুন নির্বাহী প্রকৌশলীকে পিডি (প্রকল্প পরিচালক) করার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে আমাকেই পিডি নিয়োগ করা হয়েছে।’ তাঁর কোনো ভাগনে বা নিকটাত্মীয় ঠিকাদারিতে যুক্ত নেই জানিয়ে রায়হান বলেন, ‘ঠিকাদারেরা কত কিছু বলে! চাকরিজীবনে তা শুনে শুনে আসছি। আমি যোগদানের পরে কেউ দরপত্রে অংশ নিলে তো করার কিছু নেই।’
ঈদ সামনে রেখে মানুষ বাড়ি ফেরা শুরু করেছে। এতে উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে যমুনা সেতুতে যানবাহনের চাপ কমাতে এবারে ১৮টি টোল বুথ চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বুথ বরাদ্দ করা...
১৪ মিনিট আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব (ইউআইএইচপি) এর ‘এনভায়রনমেন্টাল এন্ড সোশ্যাল সেফগার্ড ইস্যুস অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ মিনিট আগেনওগাঁর বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার ভান্ডারপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বিস্ফোরক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৮ মিনিট আগেনোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান এবং তাঁর স্ত্রী সামিরা শারমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অপরাধে এ মামলা করা হয়।
২৯ মিনিট আগে