কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। এ সম্মেলনে যে লোক সমাগম হবে তা কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছরে এ জেলায় একটি আহ্বায়ক কমিটি ও একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। নিয়মিত সম্মেলন ও কমিটি না হওয়ায় পুরোনো কমিটিতে আধিপত্য থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবীণ ও নবীন নেতারা। এদিকে সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ নিয়েও রয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে প্রয়াত খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও প্রয়াত অধ্যক্ষ আফজল খান সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব এমপিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি হয়।
পরে ২০০৬ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। বর্তমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে (লোটাস কামাল) আহ্বায়ক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব, প্রয়াত অধ্যক্ষ আফজল খান এবং শফিকুল ইসলাম শিকদারকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
পরে দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আ হ ম মুস্তফা কামালকে সভাপতি ও মো. মুজিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা কয়েক দফা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ২৬ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ ছিল। পরে তা করা হয়েছে সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ২৬ নভেম্বর। একই দিনে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন থাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় এর তারিখ পরিবর্তন করে ৬ ডিসেম্বর করা হয়।
এদিকে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন কুমিল্লা নগরীর টাউন মাঠে করা হয়েছে। আর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন শহরের বাইরে হবে এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা। পরে বিষয়টি কেন্দ্র পর্যন্ত গড়ায়। পরে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সীমান্তে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রুপম মজুমদার জানান, কয়েক দফা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে উদ্বোধক থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের। প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, গত ১৬ বছর ধরে ঘুরে ফিরে কয়েকজনই জেলা আওয়ামী লীগ লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেখানে ত্যাগী ও তৃণমূলরা হচ্ছে উপেক্ষিত। সৃষ্টি হচ্ছে সাংগঠনিক অবস্থায় স্থবিরতা।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু বলেন, ‘সম্মেলন একবার শহরের বাইরে আবার শহরে এ নিয়ে আমরাও নিশ্চিত হতে পারছি না। বর্তমান কমিটির শীর্ষ দায়িত্ব প্রাপ্তরা জেলা আওয়ামী লীগকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন। তারা এলাকায় আসেন না। দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে তাদের দেখা যায় না। অথচ বছরের পর বছর কমিটিকে দখল করে রেখেছেন। আমি চাই তৃণমূল ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হোক।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বলেন, সম্মেলনের জন্য কুমিল্লা দক্ষিণের নয়টি উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব উপজেলার নেতা-কর্মীদের বিষয়টি বিবেচনা করে এ স্থান নির্ধারণ হয়। জেলায় এটি হবে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য আয়োজনের সম্মেলন। হাজার হাজার লোক সম্মেলনে অংশ নিতে অপেক্ষা করছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। এ সম্মেলনে যে লোক সমাগম হবে তা কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছরে এ জেলায় একটি আহ্বায়ক কমিটি ও একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। নিয়মিত সম্মেলন ও কমিটি না হওয়ায় পুরোনো কমিটিতে আধিপত্য থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবীণ ও নবীন নেতারা। এদিকে সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ নিয়েও রয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে প্রয়াত খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও প্রয়াত অধ্যক্ষ আফজল খান সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব এমপিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি হয়।
পরে ২০০৬ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। বর্তমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে (লোটাস কামাল) আহ্বায়ক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব, প্রয়াত অধ্যক্ষ আফজল খান এবং শফিকুল ইসলাম শিকদারকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
পরে দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আ হ ম মুস্তফা কামালকে সভাপতি ও মো. মুজিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা কয়েক দফা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ২৬ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ ছিল। পরে তা করা হয়েছে সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ২৬ নভেম্বর। একই দিনে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন থাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় এর তারিখ পরিবর্তন করে ৬ ডিসেম্বর করা হয়।
এদিকে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন কুমিল্লা নগরীর টাউন মাঠে করা হয়েছে। আর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন শহরের বাইরে হবে এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা। পরে বিষয়টি কেন্দ্র পর্যন্ত গড়ায়। পরে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সীমান্তে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রুপম মজুমদার জানান, কয়েক দফা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে উদ্বোধক থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের। প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, গত ১৬ বছর ধরে ঘুরে ফিরে কয়েকজনই জেলা আওয়ামী লীগ লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেখানে ত্যাগী ও তৃণমূলরা হচ্ছে উপেক্ষিত। সৃষ্টি হচ্ছে সাংগঠনিক অবস্থায় স্থবিরতা।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু বলেন, ‘সম্মেলন একবার শহরের বাইরে আবার শহরে এ নিয়ে আমরাও নিশ্চিত হতে পারছি না। বর্তমান কমিটির শীর্ষ দায়িত্ব প্রাপ্তরা জেলা আওয়ামী লীগকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন। তারা এলাকায় আসেন না। দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে তাদের দেখা যায় না। অথচ বছরের পর বছর কমিটিকে দখল করে রেখেছেন। আমি চাই তৃণমূল ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হোক।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বলেন, সম্মেলনের জন্য কুমিল্লা দক্ষিণের নয়টি উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব উপজেলার নেতা-কর্মীদের বিষয়টি বিবেচনা করে এ স্থান নির্ধারণ হয়। জেলায় এটি হবে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য আয়োজনের সম্মেলন। হাজার হাজার লোক সম্মেলনে অংশ নিতে অপেক্ষা করছে।
মূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
৭ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগে