Ajker Patrika

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড: ২৯ আসামির বিচার শুরু

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮: ০২
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড: ২৯ আসামির বিচার শুরু

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এই মামলার ২৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। 

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার দুপুরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার নির্ধারিত তারিখ ধার্য ছিল। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নিয়ে আদালত শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই মামলায় ২৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।’ 

কৌঁসুলি ফরিদুল আলম জানান, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। এ সময় এই মামলার ২৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি ১৪ জন পলাতক। মামলায় ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রমের পরবর্তী তারিখে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হবে। 

 ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরেরে ডি ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রায় সাড়ে আট মাস পর তদন্ত শেষে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন গত ১৩ জুন ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। 

এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ব্যক্তির পরিবার ও এআরএসপিএইচের নেতারা এই ঘটনায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) জড়িত অভিযোগ করে আসছিল। স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করা ও রোহিঙ্গাদের কাছে মুহিবুল্লাহর জনপ্রিয়তার কারণে আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে তাঁকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জন জড়িত থাকলেও ৭ জনের নাম ও ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। 

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পর নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল মুহিবুল্লাহর পরিবার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত