কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ায় এক শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অষ্টম সেমিস্টারের ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট’ নামক একটি কোর্সের ফল প্রকাশিত হয়। ফাইনাল পরীক্ষায় আগে দ্বিতীয় মিডটার্মের ১০ নম্বরের পরীক্ষা ছিল এটি। ফল প্রকাশের পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ফলাফল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ফাইনাল পরীক্ষায় আগে দ্বিতীয় মিডটার্মে ১০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে স্বাভাবিক নম্বর পান পাঁচজন শিক্ষার্থী। ১০ নম্বরের মধ্যে ১ নম্বরের নিচে পেয়েছেন তিনজন শিক্ষার্থী। এঁদের দুজন পেয়েছেন দশমিক ৬৭ ও একজন দশমিক ৩৩। এ ছাড়া ২ নম্বরের নিচে ১৩ জন, ৩ নম্বরের নিচে ১৭ জন এবং ৪- এর নিচে পেয়েছেন চার শিক্ষার্থী।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং পরীক্ষা-নিয়ন্ত্রক নূরুল করিমকে নিয়ে একটি সভা করা হয়।
এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে এই কোর্স-সম্পর্কিত দুই ‘বিশেষজ্ঞ’ শিক্ষক দিয়ে খাতা আবারও পুনর্মূল্যায়ন করা হলে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগকে পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া এবং ওই ব্যাচের সব কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে বিরত রাখার নির্দেশনা দেয়।
এ নিয়ে সমালোচনার পর গত বৃহস্পতিবার পুনরায় ওই বিষয়ের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এতে আবারও ওই শিক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে আটজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি, এই শিক্ষকের সম্পৃকতায় কোনো পরীক্ষায় তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন না। পরবর্তীকালে ওই শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘প্রশাসন থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে একাডেমিক মিটিং করা হয়েছে। সেই শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ছাত্রদের এই বিষয়টা এখন দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।’
বিভাগীয় প্রধান আরও বলেন, ‘যতজন পরীক্ষা দিতে পারেনি, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে নতুন করে আবার একটা টাইম দিয়েছি—যাতে তাদের সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে অনেকগুলো চাকরির সার্কুলার আছে, তারা যেন সেই চাকরির সার্কুলারগুলো ধরতে পারে—আমাদের সেই চেষ্টা থাকবে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক মুর্শেদ রায়হানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ায় এক শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অষ্টম সেমিস্টারের ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট’ নামক একটি কোর্সের ফল প্রকাশিত হয়। ফাইনাল পরীক্ষায় আগে দ্বিতীয় মিডটার্মের ১০ নম্বরের পরীক্ষা ছিল এটি। ফল প্রকাশের পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ফলাফল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ফাইনাল পরীক্ষায় আগে দ্বিতীয় মিডটার্মে ১০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে স্বাভাবিক নম্বর পান পাঁচজন শিক্ষার্থী। ১০ নম্বরের মধ্যে ১ নম্বরের নিচে পেয়েছেন তিনজন শিক্ষার্থী। এঁদের দুজন পেয়েছেন দশমিক ৬৭ ও একজন দশমিক ৩৩। এ ছাড়া ২ নম্বরের নিচে ১৩ জন, ৩ নম্বরের নিচে ১৭ জন এবং ৪- এর নিচে পেয়েছেন চার শিক্ষার্থী।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং পরীক্ষা-নিয়ন্ত্রক নূরুল করিমকে নিয়ে একটি সভা করা হয়।
এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে এই কোর্স-সম্পর্কিত দুই ‘বিশেষজ্ঞ’ শিক্ষক দিয়ে খাতা আবারও পুনর্মূল্যায়ন করা হলে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগকে পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া এবং ওই ব্যাচের সব কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে বিরত রাখার নির্দেশনা দেয়।
এ নিয়ে সমালোচনার পর গত বৃহস্পতিবার পুনরায় ওই বিষয়ের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এতে আবারও ওই শিক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে আটজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি, এই শিক্ষকের সম্পৃকতায় কোনো পরীক্ষায় তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন না। পরবর্তীকালে ওই শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘প্রশাসন থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে একাডেমিক মিটিং করা হয়েছে। সেই শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ছাত্রদের এই বিষয়টা এখন দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।’
বিভাগীয় প্রধান আরও বলেন, ‘যতজন পরীক্ষা দিতে পারেনি, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে নতুন করে আবার একটা টাইম দিয়েছি—যাতে তাদের সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে অনেকগুলো চাকরির সার্কুলার আছে, তারা যেন সেই চাকরির সার্কুলারগুলো ধরতে পারে—আমাদের সেই চেষ্টা থাকবে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক মুর্শেদ রায়হানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
৪৩ মিনিট আগেছোট্ট দোকান। দোকানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই। দোকানটিতে পাওয়া যায় শুধু জিলাপি আর নিমকি। প্রতিবছর রোজার দিনে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ের এই দোকানে জিলাপি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
৪৩ মিনিট আগেমাছির সংক্রমণ থেকে ফলসহ নানান সবজি রক্ষায় নতুন একটি পদ্ধতি এনেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর খান। দেশে প্রচলিত ট্র্যাপের মধ্যে সাধারণত লিউর ও সাবান-পানি ব্যবহৃত হয়, যার কার্যকারিতা বজায় রাখতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকেরা এটি
৪৩ মিনিট আগেবর্ষা মৌসুমে বিলে থই থই পানি। তখন পাড়ি দিতে হয় নৌকায়। এরপর হেঁটে কাদা-পানি মাড়িয়ে চলাচল কিছুদিন। আর খরা মৌসুমে বিলের মাঝখানে জেগে ওঠা ভাঙাচোরা রাস্তা। এভাবেই দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর চলাচল করছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ।
১ ঘণ্টা আগে