কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দখল নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে রোহিঙ্গাদের জীবন আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনে ভিটেমাটি ফেলে মংডু ও আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
অভিযোগ উঠেছে, নাফ নদ পাড়ি দিয়ে দালালদের সহযোগিতায় কাঠের নৌকা করে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এরপর তারা টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং টেকনাফে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে।
সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ উদ্বেগ জানিয়েছেন।
তবে নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গার আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।’
গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতিমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ দখলের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের সীমান্ত চৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ ও আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ও সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মংডু শহরের সেনা ও বিজিপির দুটি ব্যারাক (ব্যাটালিয়ন) দখলে নিতে হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির পাশাপাশি মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গ্রেনেড–বোমা ছোড়া হচ্ছে। এর মধ্যে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া, নুরুল্লাপাড়া দখল করে ৫০–৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে।
মংডু ও আশপাশের গ্রামগুলোতে ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে। রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরেও মংডু এলাকার রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবার তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘রোববার রাতেও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসে। তবে সোমবার ভোর থেকে তেমন বিকট শব্দ শোনা যায়নি। কয়েক দিন ধরে মংডু ও আশপাশের এলাকায় টানা বিমান হামলা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণ হয়েছে।’
সীমান্তে জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গারা
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু ও আশপাশের সীমান্তে ৬০–৬৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। এরই মধ্যে হাজারো রোহিঙ্গারা নাফ নদ ও সীমান্ত পার হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ আশ্রয়শিবিরে আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। গত এক মাসে অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে সীমান্তে কর্মরত সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত ১০ হাজার মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।
একাধিক সূত্রমতে, টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলী, বরইতলী, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলী, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে।
মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু ও দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, জনপ্রতি রোহিঙ্গারা দালালদের ৫ লাখ কিয়াত (বার্মিজ মুদ্রা) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা দিয়ে সীমান্ত পার হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়স্বজনদের ঘরে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ ও আহত আছেন। তাঁদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে কয়েক মাসে আট লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।’
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট–নয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।’
এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবারও গণহারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। নাফ নদ–সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল থাকার পরও দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি দুঃখজনক। অবিলম্বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো দরকার বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের সংগঠন ‘আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা–সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটছে। রাখাইনের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির যুদ্ধে আবারও রোহিঙ্গারা নির্মূল হচ্ছে।’ এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। গত ৭ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শুরু হলেও রাখাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে থেমে আছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দখল নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে রোহিঙ্গাদের জীবন আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনে ভিটেমাটি ফেলে মংডু ও আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
অভিযোগ উঠেছে, নাফ নদ পাড়ি দিয়ে দালালদের সহযোগিতায় কাঠের নৌকা করে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এরপর তারা টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং টেকনাফে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে।
সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ উদ্বেগ জানিয়েছেন।
তবে নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গার আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।’
গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতিমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ দখলের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের সীমান্ত চৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ ও আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ও সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মংডু শহরের সেনা ও বিজিপির দুটি ব্যারাক (ব্যাটালিয়ন) দখলে নিতে হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির পাশাপাশি মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গ্রেনেড–বোমা ছোড়া হচ্ছে। এর মধ্যে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া, নুরুল্লাপাড়া দখল করে ৫০–৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে।
মংডু ও আশপাশের গ্রামগুলোতে ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে। রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরেও মংডু এলাকার রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবার তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘রোববার রাতেও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসে। তবে সোমবার ভোর থেকে তেমন বিকট শব্দ শোনা যায়নি। কয়েক দিন ধরে মংডু ও আশপাশের এলাকায় টানা বিমান হামলা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণ হয়েছে।’
সীমান্তে জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গারা
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু ও আশপাশের সীমান্তে ৬০–৬৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। এরই মধ্যে হাজারো রোহিঙ্গারা নাফ নদ ও সীমান্ত পার হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ আশ্রয়শিবিরে আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। গত এক মাসে অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে সীমান্তে কর্মরত সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত ১০ হাজার মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।
একাধিক সূত্রমতে, টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলী, বরইতলী, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলী, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে।
মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু ও দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, জনপ্রতি রোহিঙ্গারা দালালদের ৫ লাখ কিয়াত (বার্মিজ মুদ্রা) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা দিয়ে সীমান্ত পার হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়স্বজনদের ঘরে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ ও আহত আছেন। তাঁদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে কয়েক মাসে আট লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।’
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট–নয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।’
এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবারও গণহারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। নাফ নদ–সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল থাকার পরও দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি দুঃখজনক। অবিলম্বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো দরকার বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের সংগঠন ‘আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা–সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটছে। রাখাইনের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির যুদ্ধে আবারও রোহিঙ্গারা নির্মূল হচ্ছে।’ এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। গত ৭ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শুরু হলেও রাখাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে থেমে আছে।
রাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বেলা পৌনে ১২টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে চালকেরা অবরোধ তুলে নিলে ৩ ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৫ মিনিট আগেপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
১৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
৩৭ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
৪১ মিনিট আগে