সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হয়েছেন ছয় রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঁচটি নিবন্ধন থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নামসর্বস্ব। এলাকায় প্রচার–প্রচারণায় দেখা না গেলেও ভোটাররা তাদের বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস।
প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরউত্তম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় হলেও তিনি লড়ছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসন থেকে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে নির্বাচন করতে না পারলেও তিনি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের শক্ত অবস্থান আছে ওখানে।
বিএনএফের চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৭ (গুলশান–বনানী) আসনের এমপি হন। এবার তিনি ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮ আসন ছাড়াও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন।
দলীয় প্রধান হিসেবে এবার সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি গুলশান–বনানীর এমপি ছিলাম। সেখানে অনেক উন্নয়নের সাক্ষী আমি। চট্টগ্রাম-৮ আসনেও আমি গুলশান–বনানীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। এ ক্ষেত্রে ভোটাররা আমাকেই বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস রাখতে চাই।’
তবে এলাকায় তাঁর তেমন কোনো পোস্টার–ব্যানার দেখা যায়নি। ভোটারদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আলোচনাও নেই। অনেকে এই প্রার্থীকে চেনেনও না।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ ফয়সাল বাপ্পী নামে এক ভোটার বলেন, ‘উনি থাকেন ঢাকায়। এলাকায় তেমনটা আসেন না। ভোট উপলক্ষে এসেছেন। উনাকে নিয়ে আমাদের কোন উচ্ছ্বাস নেই।’
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশ ভিপি নাজিমের দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল না হওয়ায় তিনি তৃণমূল বিএনপির টিকিটে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
প্রচার–প্রচারণা ও গণসংযোগে তাঁর তৎপরতা তেমন চোখে পড়ে না। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ভোটের মাঠে থাকায় এলাকার মানুষের মধ্যে তাঁকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহানের মতো শক্ত প্রার্থীর সামনে ভিপি নাজিম আলোচনায় থাকার মতো তেমন কিছু করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে। এখানে শক্ত প্রার্থী রয়েছেন নৌকার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। ফলে ভোটের মাঠে এম এ মতিন আলোচনায় আসছেন না বলে জানিয়েছেন পটিয়ার ভোটার প্রণব বড়ুয়া।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ভোটের মাঠে থাকা তরিকত ফেডারেশন ও সুপ্রিম পার্টির দুই চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি সম্পর্কে চাচা–ভাতিজা। নজিবুল বশর নৌকার টিকিটে বর্তমানে এমপি হিসেবে রয়েছেন। নতুন দল সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যানের ভোট বলয় গড়ে ওঠেনি এখনো। দুজনই নৌকা চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কাছে। চাচা ভাতিজার কামড়া–কামড়িতে শেষতক নৌকা প্রতীক পান আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এখানে আরেক শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। নির্বাচনী মাঠ মসৃণ থাকলে এখানে পাত্তা পাবেন না দুই ভান্ডারি।
এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের মাঠে বেশ সাড়া পাচ্ছি। তৃণমূল থেকে আমরা উঠে এসেছি। ভোটারদের সুসময় দু: সময়ে সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হয়েছেন ছয় রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঁচটি নিবন্ধন থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নামসর্বস্ব। এলাকায় প্রচার–প্রচারণায় দেখা না গেলেও ভোটাররা তাদের বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস।
প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরউত্তম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় হলেও তিনি লড়ছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসন থেকে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে নির্বাচন করতে না পারলেও তিনি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের শক্ত অবস্থান আছে ওখানে।
বিএনএফের চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৭ (গুলশান–বনানী) আসনের এমপি হন। এবার তিনি ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮ আসন ছাড়াও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন।
দলীয় প্রধান হিসেবে এবার সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি গুলশান–বনানীর এমপি ছিলাম। সেখানে অনেক উন্নয়নের সাক্ষী আমি। চট্টগ্রাম-৮ আসনেও আমি গুলশান–বনানীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। এ ক্ষেত্রে ভোটাররা আমাকেই বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস রাখতে চাই।’
তবে এলাকায় তাঁর তেমন কোনো পোস্টার–ব্যানার দেখা যায়নি। ভোটারদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আলোচনাও নেই। অনেকে এই প্রার্থীকে চেনেনও না।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ ফয়সাল বাপ্পী নামে এক ভোটার বলেন, ‘উনি থাকেন ঢাকায়। এলাকায় তেমনটা আসেন না। ভোট উপলক্ষে এসেছেন। উনাকে নিয়ে আমাদের কোন উচ্ছ্বাস নেই।’
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশ ভিপি নাজিমের দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল না হওয়ায় তিনি তৃণমূল বিএনপির টিকিটে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
প্রচার–প্রচারণা ও গণসংযোগে তাঁর তৎপরতা তেমন চোখে পড়ে না। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ভোটের মাঠে থাকায় এলাকার মানুষের মধ্যে তাঁকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহানের মতো শক্ত প্রার্থীর সামনে ভিপি নাজিম আলোচনায় থাকার মতো তেমন কিছু করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে। এখানে শক্ত প্রার্থী রয়েছেন নৌকার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। ফলে ভোটের মাঠে এম এ মতিন আলোচনায় আসছেন না বলে জানিয়েছেন পটিয়ার ভোটার প্রণব বড়ুয়া।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ভোটের মাঠে থাকা তরিকত ফেডারেশন ও সুপ্রিম পার্টির দুই চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি সম্পর্কে চাচা–ভাতিজা। নজিবুল বশর নৌকার টিকিটে বর্তমানে এমপি হিসেবে রয়েছেন। নতুন দল সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যানের ভোট বলয় গড়ে ওঠেনি এখনো। দুজনই নৌকা চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কাছে। চাচা ভাতিজার কামড়া–কামড়িতে শেষতক নৌকা প্রতীক পান আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এখানে আরেক শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। নির্বাচনী মাঠ মসৃণ থাকলে এখানে পাত্তা পাবেন না দুই ভান্ডারি।
এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের মাঠে বেশ সাড়া পাচ্ছি। তৃণমূল থেকে আমরা উঠে এসেছি। ভোটারদের সুসময় দু: সময়ে সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ মিনিট আগেচাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেছে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেখাম ছাড়া নারী দিবসের চিঠি দেওয়ায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা ডলির ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন জামায়াতের এক কর্মী। এমনকি ওই কর্মকর্তাকে সালথা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মহিলা কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে এ কথা বলেন ওয়ালি উজ জামান নামের এক ব্যক্তি।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার ঘটনায় আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আরাফাত মামুন রাউজানে যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করলেও তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
১ ঘণ্টা আগে