মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রী, দুর্ভোগে মানুষ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৩০
Thumbnail image

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবীদ্বার অংশ সবচেয়ে ব্যস্ততম। এমনিতেই প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এই সড়কে। তার ওপর মহাসড়ক দখল করে পাথর, রড, বালুসহ নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে পথচারীদের সড়ক দিয়েই হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। 

আজ বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেবীদ্বার নিউমার্কেট পানবাজারের ভেতরের রাস্তার এক অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, অপর অংশের নির্মাণকাজের সামগ্রীগুলো রাখা হয়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ওপরের একটি অংশে। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা মোটরবাইকচালক শাহ জালাল দুই পাশে যানজট থাকায় পাথরের ওপর দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে যান। অল্পের জন্য আন্তজেলা ট্রাক্টরের নিচে পড়া থেকে রক্ষা পান তিনি। 

এ সময় কয়েকজন পথচারী জানান, এই মহাসড়কে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাজার হাজার যানবাহন আসা-যাওয়া করে। এভাবে এই সড়কে নির্মাণসামগ্রী রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বালু-পাথরে পিছলে গিয়ে যেকোনো সময় যানবাহন উল্টে যেতে পারে। দুর্ঘটনায় কারও প্রাণহানি ঘটলে এর দায় কে নেবে?

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, `পানবাজারের রাস্তার নির্মাণকাজ ঢিলেঢালাভাবে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাজার ব্যবস্থাপনার কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাই না। কিছু ব্যবসায়ী কাঁচাবাজারের ভেতরে বসেছেন, আবার কিছু ব্যবসায়ী রাস্তা দখল করে বসেছেন। ভেতরের বাজারে মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারছে না। এতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। রাস্তার কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সড়কের ওপর এভাবে নির্মাণসামগ্রীর স্তূপ রাখায় যেকোনো সময় মোটরবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন বালু ও পাথরে দেবে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট’-এর মালিক বাহার উদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, `জায়গার সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

ট্রাফিক পরিদর্শক মো. নুরে আলম বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিকের একাধিক টিম কাজ করলেও কোনো কাজেই আসছে না। নির্মাণসামগ্রীর কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এর ফলে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। 

দেবীদ্বার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার জন্য বলা হয়েছে। কাজের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কুমিল্লায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট এলেই কাজ শুরু হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত