Ajker Patrika

জিনের ভয় দেখিয়ে বলাৎকার, সহকারী মুয়াজ্জিনকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ

প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ
জিনের ভয় দেখিয়ে বলাৎকার, সহকারী মুয়াজ্জিনকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে। ১৫ দিন ধরে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুটির উপর এ নির্যাতন চালায় শাহাদাৎ হোসেন (২৪)। শিশুটি তাঁর পরিবারকে এ ঘটনা জানায়। শাহাদাৎকে স্থানীয় সালিশ তাঁকে মারধোর করে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিলেও বিচারে সন্তুষ্ট নয় ভুক্তভোগীর পরিবার।

ভুক্তভোগীর বাবা সোমবার জানান, ‘ছেলেকে আরবি শিখানোর জন্য গৃহশিক্ষক খুঁজছিলাম। শাহাদাত পড়াতে রাজি হলেও বাড়িতে এসে পড়াতে পারবে না বলে জানায়। তাঁর কথা মতো ছেলেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শাহাদাতের বাড়িতে পাঠাতাম । সে আমার ছেলেসহ ১০ থেকে ১৫ জনকে পড়াত। গত সপ্তাহে আমার ছেলে আরবি পড়তে যেতে রাজি না হয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। কয়েকদিন পড়তে না যাওয়ায় জোর করলে ছেলে কান্না শুরু করে। তখন পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলে শিশুটি।’

ছেলের বরাত দিয়ে এ বাবা বলেন, প্রতিদিন সবার পড়া শেষ হলেও শিশুটিকে একটু বেশি পড়ানোর কথা বলে রেখে দিত। সবাই চলে গেলে রুম আটকে জিনের ভয় দেখিয়ে তাঁকে বলাৎকার করত। এ ঘটনা কাউকে বললে তাঁর সঙ্গে থাকা জিন শিশুটির ক্ষতি করবে বলেও ভয় দেখাত শাহাদাত।

বিষয়টি কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম মোল্লা ও নব নির্বাচিত কাউন্সিলর আফছার আহমেদকে জানান এ পিতা। এ নেতারা ১০ দিন আগে স্থানীয় শালিস বসিয়ে শাহাদাতকে মারধর করে। শিশুটির পরিবার এ বিচারে খুশি না হলে রবিবার আবার শালিস বসানো হয়। এ দফায় বিচারকরা শাহাদাৎকে মাটিতে থুথু ফেলে চেটে তোলায়, ২০বার কান ধরে উঠবস করায় ও গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেয়। তবে কাউন্সিলরদের কথায় ও নিজের সম্মানহানির কথা ভেবে মামলা করেনি ভুক্তভোগীর পরিবার।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে থানায় যেতে নিরুৎসাহিত করেছি। তাছাড়া নতুন কাউন্সিলর বিচার করার দায়িত্ব নিয়েছে, তাই আমি আর কিছু বলিনি।

নব নির্বাচিত কাউন্সিলর আফছার আহমেদ বলেন, একবারের বিচারে নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার সন্তুষ্ট না হওয়ায় দু’দফা বিচার করেছি। সালিসের সময় কাউন্সিলর চান্দু মোল্লা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।’

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শাহাদাৎ উপজেলার ২নং ওয়ার্ড তুমলিয়া গ্রামের মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পাশের গ্রাম দুবার্টি আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও তুমলিয়া জামে মসজিদের সহকারী মুয়াজ্জিন। আর নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটি একই এলাকার একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

এনসিটিবিতে দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপি নেতা তানভীরের নাম, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়

‘হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা পালিয়েছে, আমি ফিরেছি’

ধর্ষণ ও তিন খুনের আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভয়ে বাদী

আটকের ভয়ে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান, বিকেলে বেরিয়ে আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত