ঢাবি প্রতিনিধি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে এ কথা বলেন সেলিম।
খাদিজার কারাগারে এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ সোমবার (২৮ আগস্ট)।
সেলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার ছিল, আমরা এমন একটা দেশ গড়ে তুলব যেখানে অবাধ ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। সেই ভিত্তিতে সংবিধান রচিত হয়েছিল, কিন্তু সংবিধানের তৃতীয় সংশোধন করে কতগুলো শর্ত আরোপ করল।’
সেলিম আরও বলেন, ‘আমরা ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায় আইন ও শোষণ যদি করে সেটা মানতে নাগরিকেরা বাধ্য নয়। আইন সংবিধানের সৃষ্টি, সংবিধান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সৃষ্টি। এর যে মূল স্পিরিট সেই স্পিরিটের বাইরে কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারে না। আইনের বাইরেও কোনটা ন্যায় এবং কোনটা অন্যায় সেটা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। খাদিজার জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে জেলখানায় রেখে দিয়েছে।’
সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না, ত্বকী হত্যাকাণ্ডের বিচার করার মুরোদ নেই, তনু হত্যাকাণ্ডের মুরোদ নেই। কেন সে বিচারগুলো হয় না? কারণে এগুলোর সঙ্গে ক্ষমতার প্রশ্ন জড়িত।— এমন মন্তব্য করে অবিলম্বে খাদিজার মুক্তি দাবি করেন সেলিম।
ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মাঈন আহমেদর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দীন খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। নেতা–কর্মীরা অবিলম্বে খাদিজার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের শাসনব্যবস্থাকে আমি ধর্মাবতারের শাসনব্যবস্থা বলি। যারা সমালোচনা করবেন আপনার কণ্ঠরোধ করা হবে। এটি ভয়াবহ ও মানবতাবিরোধী ব্যবস্থা। আমরা প্রত্যেকে এতে বিপদগ্রস্ত।’
খাদিজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা ১৭ বছরের মেয়েকে ২২ বছর দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী ব্যবস্থা থাকলে এ রকম হয়? ডিএসএ অথবা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট এগুলো ধর্মাবতারমূলক শাসন রক্ষা করার জন্য তৈরি হয়েছে। এ রাজনীতিতে একজন ধর্মাবতার থাকেন, যারা এটি সমর্থন করেন তারা ধর্মাবতারের একজন সেবাদাস হন। সেবাদাস না হয়ে মানুষ হন খাদিজাসহ অনেক মানুষের পক্ষে কথা বলেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মামলায় লেখা আছে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা, উৎখাতের চেষ্টা। একটা গণতান্ত্রিক দেশে প্রকাশ্যে জনগণকে সংগঠিত করে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা, তাকে উৎখাতের জন্য তৎপর হওয়া সাংবিধানিক অধিকার। সেখানে এ রকম মামলা দিয়ে খাদিজাকে রাতে ধরে নিয়ে আসা হলো। বহুদিনপর তাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের চেম্বার জর্জ সেটি স্থগিত করলেন। তারপরে বড় ব্যাপার, সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচার পতির নেতৃত্বে একটি ফুল বেঞ্চ জামিন আবেদন শুনানি চার মাস না করার বিষয়ে আদেশ দিলেন। আমরা কোথায় আছি?’
আরও পড়ুন—
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে এ কথা বলেন সেলিম।
খাদিজার কারাগারে এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ সোমবার (২৮ আগস্ট)।
সেলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার ছিল, আমরা এমন একটা দেশ গড়ে তুলব যেখানে অবাধ ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। সেই ভিত্তিতে সংবিধান রচিত হয়েছিল, কিন্তু সংবিধানের তৃতীয় সংশোধন করে কতগুলো শর্ত আরোপ করল।’
সেলিম আরও বলেন, ‘আমরা ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায় আইন ও শোষণ যদি করে সেটা মানতে নাগরিকেরা বাধ্য নয়। আইন সংবিধানের সৃষ্টি, সংবিধান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সৃষ্টি। এর যে মূল স্পিরিট সেই স্পিরিটের বাইরে কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারে না। আইনের বাইরেও কোনটা ন্যায় এবং কোনটা অন্যায় সেটা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। খাদিজার জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে জেলখানায় রেখে দিয়েছে।’
সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না, ত্বকী হত্যাকাণ্ডের বিচার করার মুরোদ নেই, তনু হত্যাকাণ্ডের মুরোদ নেই। কেন সে বিচারগুলো হয় না? কারণে এগুলোর সঙ্গে ক্ষমতার প্রশ্ন জড়িত।— এমন মন্তব্য করে অবিলম্বে খাদিজার মুক্তি দাবি করেন সেলিম।
ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মাঈন আহমেদর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দীন খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। নেতা–কর্মীরা অবিলম্বে খাদিজার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের শাসনব্যবস্থাকে আমি ধর্মাবতারের শাসনব্যবস্থা বলি। যারা সমালোচনা করবেন আপনার কণ্ঠরোধ করা হবে। এটি ভয়াবহ ও মানবতাবিরোধী ব্যবস্থা। আমরা প্রত্যেকে এতে বিপদগ্রস্ত।’
খাদিজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা ১৭ বছরের মেয়েকে ২২ বছর দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী ব্যবস্থা থাকলে এ রকম হয়? ডিএসএ অথবা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট এগুলো ধর্মাবতারমূলক শাসন রক্ষা করার জন্য তৈরি হয়েছে। এ রাজনীতিতে একজন ধর্মাবতার থাকেন, যারা এটি সমর্থন করেন তারা ধর্মাবতারের একজন সেবাদাস হন। সেবাদাস না হয়ে মানুষ হন খাদিজাসহ অনেক মানুষের পক্ষে কথা বলেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মামলায় লেখা আছে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা, উৎখাতের চেষ্টা। একটা গণতান্ত্রিক দেশে প্রকাশ্যে জনগণকে সংগঠিত করে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা, তাকে উৎখাতের জন্য তৎপর হওয়া সাংবিধানিক অধিকার। সেখানে এ রকম মামলা দিয়ে খাদিজাকে রাতে ধরে নিয়ে আসা হলো। বহুদিনপর তাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের চেম্বার জর্জ সেটি স্থগিত করলেন। তারপরে বড় ব্যাপার, সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচার পতির নেতৃত্বে একটি ফুল বেঞ্চ জামিন আবেদন শুনানি চার মাস না করার বিষয়ে আদেশ দিলেন। আমরা কোথায় আছি?’
আরও পড়ুন—
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৪০ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে