গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের সারি দেখা যায়। রোদ আর গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় গণপরিবহনের যাত্রীদের ও পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নদী পাড়ি দিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরিতে উঠতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮টি ফেরির জন্য পাঁচটি ঘাট সচল থাকলেও বৃহস্পতিবার একটি ঘাট অচল হয়ে এখন চারটি ঘাট সচল আছে। এত দিন ৫ ও ৭ নম্বর ঘাট রো রো ফেরির জন্য ব্যবহৃত হয়ে এলেও বৃহস্পতিবার থেকে ৭ নম্বর ঘাটের কাছে নাব্যতা দ্রুত কমতে থাকায় ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ঘাট ইউটিলিটি (ছোট) ফেরির জন্য।
রো রো ঘাটে তিনটি করে পকেট থাকলেও ইউটিলিটি ঘাটে মাত্র একটি করে পকেট রয়েছে। অর্থাৎ তিনটি ঘাটে মাত্র তিনটি পকেটে তিনটি ফেরি ভিড়তে পারে। রো রো ঘাটে দুটি বড় ও একটি ছোট ফেরি ভিড়তে পারে। ফেরির সংখ্যা অনুযায়ী ঘাটের সংখ্যা কম রয়েছে, যে কারণে মাঝেমধ্যে ঘাট না পেয়ে ফেরিগুলো ঘাটের কাছে এসে ঝুলে থাকে।
আজ সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ৩ নম্বর ফেরিঘাট (জিরো পয়েন্ট) থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার লম্বা যানবাহনের লাইন। ঢাকামুখী লাইনের অধিকাংশ রয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন। সঙ্গে রয়েছে অনেক পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ। এসব গাড়ি ফেরিতে উঠতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে।
বেনাপোল থেকে কমার্শিয়াল মাল বোঝাই করে আসা ট্রাকচালক মো. সেলিম শিকদার বলেন, `বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্কেল করিয়ে ফেরি পারের জন্য ঘাটে ঢুকি। আজ সকাল ১০টায় দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটে আসতে সক্ষম হয়েছি।' তিনি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পেছনে সিরিয়ালে আটকে আছেন। তিনি ২৩ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন। এ রকম অনেক গাড়ি রয়েছে বলে তিনি জানান।
খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক লিটন খান বলেন, ‘৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করছি। এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। গরমের মধ্যে বসে থেকে নারী ও শিশুরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, আগে ট্রাকের জন্য একটা লাইন ও বাসের জন্য একটা লাইন ছিল, কিন্তু গত তিন দিন যাবৎ ঘাট এলাকায় জরুরি গাড়ি গণপরিবহন ছাড়াও ট্রাক দিয়ে লাইন করা হচ্ছে। তাতে করে বাসের যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় লাগছে।'
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ফেরির সংখ্যা ১৬ থেকে ১৮টি করা হয়েছে, কিন্তু নতুন করে ঘাটের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। পাঁচটি ঘাটের মধ্যে দুটি রো রো এবং বাকি তিনটি ইউটিলিটি ফেরির জন্য নির্মিত। কিন্তু ৭ নম্বর ঘাটের কাছে নাব্যতা দ্রুত কমতে থাকায় ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে জরুরিভাবে রো রো ফেরিঘাট বাড়ানো দরকার। অথবা কোনো ইউটিলিটি পন্টুন সরিয়ে রো রো পন্টুন বসানো দরকার। তা না হলে সহজে এ সমস্যা দূর হবে না।
এ ছাড়া প্রায় দেড় মাস পর বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল পরীক্ষামূলক শুরু হলেও পুরোপুরি চালু না হওয়ায় ওই সব রুটের অধিকাংশ গাড়ি এই ঘাট ব্যবহার করছে। যে কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের সারি দেখা যায়। রোদ আর গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় গণপরিবহনের যাত্রীদের ও পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নদী পাড়ি দিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরিতে উঠতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮টি ফেরির জন্য পাঁচটি ঘাট সচল থাকলেও বৃহস্পতিবার একটি ঘাট অচল হয়ে এখন চারটি ঘাট সচল আছে। এত দিন ৫ ও ৭ নম্বর ঘাট রো রো ফেরির জন্য ব্যবহৃত হয়ে এলেও বৃহস্পতিবার থেকে ৭ নম্বর ঘাটের কাছে নাব্যতা দ্রুত কমতে থাকায় ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ঘাট ইউটিলিটি (ছোট) ফেরির জন্য।
রো রো ঘাটে তিনটি করে পকেট থাকলেও ইউটিলিটি ঘাটে মাত্র একটি করে পকেট রয়েছে। অর্থাৎ তিনটি ঘাটে মাত্র তিনটি পকেটে তিনটি ফেরি ভিড়তে পারে। রো রো ঘাটে দুটি বড় ও একটি ছোট ফেরি ভিড়তে পারে। ফেরির সংখ্যা অনুযায়ী ঘাটের সংখ্যা কম রয়েছে, যে কারণে মাঝেমধ্যে ঘাট না পেয়ে ফেরিগুলো ঘাটের কাছে এসে ঝুলে থাকে।
আজ সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ৩ নম্বর ফেরিঘাট (জিরো পয়েন্ট) থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার লম্বা যানবাহনের লাইন। ঢাকামুখী লাইনের অধিকাংশ রয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন। সঙ্গে রয়েছে অনেক পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ। এসব গাড়ি ফেরিতে উঠতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে।
বেনাপোল থেকে কমার্শিয়াল মাল বোঝাই করে আসা ট্রাকচালক মো. সেলিম শিকদার বলেন, `বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্কেল করিয়ে ফেরি পারের জন্য ঘাটে ঢুকি। আজ সকাল ১০টায় দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটে আসতে সক্ষম হয়েছি।' তিনি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পেছনে সিরিয়ালে আটকে আছেন। তিনি ২৩ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন। এ রকম অনেক গাড়ি রয়েছে বলে তিনি জানান।
খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক লিটন খান বলেন, ‘৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করছি। এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। গরমের মধ্যে বসে থেকে নারী ও শিশুরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, আগে ট্রাকের জন্য একটা লাইন ও বাসের জন্য একটা লাইন ছিল, কিন্তু গত তিন দিন যাবৎ ঘাট এলাকায় জরুরি গাড়ি গণপরিবহন ছাড়াও ট্রাক দিয়ে লাইন করা হচ্ছে। তাতে করে বাসের যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় লাগছে।'
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ফেরির সংখ্যা ১৬ থেকে ১৮টি করা হয়েছে, কিন্তু নতুন করে ঘাটের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। পাঁচটি ঘাটের মধ্যে দুটি রো রো এবং বাকি তিনটি ইউটিলিটি ফেরির জন্য নির্মিত। কিন্তু ৭ নম্বর ঘাটের কাছে নাব্যতা দ্রুত কমতে থাকায় ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে জরুরিভাবে রো রো ফেরিঘাট বাড়ানো দরকার। অথবা কোনো ইউটিলিটি পন্টুন সরিয়ে রো রো পন্টুন বসানো দরকার। তা না হলে সহজে এ সমস্যা দূর হবে না।
এ ছাড়া প্রায় দেড় মাস পর বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল পরীক্ষামূলক শুরু হলেও পুরোপুরি চালু না হওয়ায় ওই সব রুটের অধিকাংশ গাড়ি এই ঘাট ব্যবহার করছে। যে কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে বন বিভাগ। এসব বনভূমিতে গড়ে ওঠা শতাধিক বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৭ একর বনভূমি।
২ মিনিট আগেআদালতে শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার
১০ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের তুলশীখালী ও চিত্রকোট এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) এই পার্ক পরিদর্শন করেন তিনি।
২৪ মিনিট আগেসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ, কোনো প্রকার আঘাত এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতি দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগে