ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
যমুনায় নাব্যতা-সংকটে মানিকগঞ্জের আরিচা–পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা রয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।
আজ বিকেল পর্যন্ত উভয় ঘাটে কয়েক শ ট্রাকসহ তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে। ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা পেয়ে অনেক যানবাহন বিকল্প পথে রওনা হয় গন্তব্যের উদ্দেশে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই প্রান্তে আটকা পড়া শতাধিক যানবাহনের চালক-সহকারী ও যাত্রীরা। সেই সঙ্গে সময়মতো গন্তব্যে পণ্য না পৌঁছানোয় আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, আরিচা-কাজিরহাট রুটের ড্রেজিং ইউনিট বেশ কিছু স্থানে জরুরি ভিত্তিতে পলি অপসারণের কাজ চলমান থাকায় কমপক্ষে তিন দিন এ পথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। আরিচা পয়েন্টে যমুনার পানি দ্রুত কমতে থাকায় আরিচা-কাজিরহাট রুটে নাব্যতা-সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি লোড অবস্থায় চলাচল করতে অনন্ত ১০ ফুট গভীর পানির প্রয়োজন। কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে এই রুটের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গভীরতা নেই।
পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, প্রতিবছর সাধারণত এ সময়ে যমুনায় নাব্যতা-সংকট দেখা দেয়। তাঁদের মতে, আগে থেকে এই নৌপথ খনন করা হলে সংকট তৈরি হতো না। এর আগে ১ নভেম্বর থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে দুই দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। প্রায় এক সপ্তাহ ফেরি চলাচল সচল থাকার পর গতকাল রাত থেকে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাট কার্যালয় সূত্র জানায়, ড্রেজিং ইউনিট আরিচা, চর লতিফপুর, কাজিরহাট, কল্যাণপুর, মুন্সিখোলা, ব্যাটারিরচর, কৈটোলা, আউয়ালবাট, বাঘাবাড়ী, নাকালিয়া, মোহনগঞ্জ চ্যানেলের ড্রেজিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পানি কমতে থাকায় ডুবোচরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ড্রেজিং চালু থাকলেও স্রোতে চ্যানেল ভরাট হওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ফলে ১ নভেম্বর রাত ৯টা থেকে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এক সপ্তাহ পর একই কারণে গতকাল রাত ১১টা থেকে এপথে তিন দিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য পাঁচটি ফেরি আছে। এসব ফেরি দিয়ে নৌপথটিতে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০টি যানবাহন পারাপার করা হয়। এসব যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই পণ্যবাহী। এ ছাড়া অল্পসংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহনও পারাপার হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেরি বন্ধ থাকায় আজ (শনিবার) বেলা ১টা পর্যন্ত আরিচা ঘাট এলাকায় বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। তবে ফেরি বন্ধ থাকায় অনেক যানবাহন ঘুরে গিয়ে যমুনা সেতু হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। একইভাবে কাজিরহাট এলাকায়ও শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
সয়াবিন তেল নিয়ে আসা ট্রাকচালক সাগর জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে তিনি ফেরি ঘাটে পৌঁছান। কিন্তু এসে জানতে পারেন আগামী তিন দিনের জন্য ফেরি চলাচর বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেক গাড়ি বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে গেছে। এই নৌপথে পাবনায় যেতে খরচ ও সময় কম লাগে। এ কারণে সহজে যাতায়াত করা যায় বলে এই নৌপথ ব্যবহার করা হয়।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাব্যতা-সংকট দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চ্যানেলগুলো ফেরি চলাচলের উপযোগী করতে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে তিন দিনের জন্য এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চ্যানেলগুলো পরিষ্কার হলেই ফেরি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তবে, সময়ের বিষয়টি নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। ইতিমধ্যেই বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সমস্যা সমাধানে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
যমুনায় নাব্যতা-সংকটে মানিকগঞ্জের আরিচা–পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা রয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।
আজ বিকেল পর্যন্ত উভয় ঘাটে কয়েক শ ট্রাকসহ তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে। ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা পেয়ে অনেক যানবাহন বিকল্প পথে রওনা হয় গন্তব্যের উদ্দেশে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই প্রান্তে আটকা পড়া শতাধিক যানবাহনের চালক-সহকারী ও যাত্রীরা। সেই সঙ্গে সময়মতো গন্তব্যে পণ্য না পৌঁছানোয় আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, আরিচা-কাজিরহাট রুটের ড্রেজিং ইউনিট বেশ কিছু স্থানে জরুরি ভিত্তিতে পলি অপসারণের কাজ চলমান থাকায় কমপক্ষে তিন দিন এ পথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। আরিচা পয়েন্টে যমুনার পানি দ্রুত কমতে থাকায় আরিচা-কাজিরহাট রুটে নাব্যতা-সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি লোড অবস্থায় চলাচল করতে অনন্ত ১০ ফুট গভীর পানির প্রয়োজন। কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে এই রুটের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গভীরতা নেই।
পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, প্রতিবছর সাধারণত এ সময়ে যমুনায় নাব্যতা-সংকট দেখা দেয়। তাঁদের মতে, আগে থেকে এই নৌপথ খনন করা হলে সংকট তৈরি হতো না। এর আগে ১ নভেম্বর থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে দুই দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। প্রায় এক সপ্তাহ ফেরি চলাচল সচল থাকার পর গতকাল রাত থেকে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাট কার্যালয় সূত্র জানায়, ড্রেজিং ইউনিট আরিচা, চর লতিফপুর, কাজিরহাট, কল্যাণপুর, মুন্সিখোলা, ব্যাটারিরচর, কৈটোলা, আউয়ালবাট, বাঘাবাড়ী, নাকালিয়া, মোহনগঞ্জ চ্যানেলের ড্রেজিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পানি কমতে থাকায় ডুবোচরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ড্রেজিং চালু থাকলেও স্রোতে চ্যানেল ভরাট হওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ফলে ১ নভেম্বর রাত ৯টা থেকে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এক সপ্তাহ পর একই কারণে গতকাল রাত ১১টা থেকে এপথে তিন দিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য পাঁচটি ফেরি আছে। এসব ফেরি দিয়ে নৌপথটিতে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০টি যানবাহন পারাপার করা হয়। এসব যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই পণ্যবাহী। এ ছাড়া অল্পসংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহনও পারাপার হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেরি বন্ধ থাকায় আজ (শনিবার) বেলা ১টা পর্যন্ত আরিচা ঘাট এলাকায় বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। তবে ফেরি বন্ধ থাকায় অনেক যানবাহন ঘুরে গিয়ে যমুনা সেতু হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। একইভাবে কাজিরহাট এলাকায়ও শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
সয়াবিন তেল নিয়ে আসা ট্রাকচালক সাগর জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে তিনি ফেরি ঘাটে পৌঁছান। কিন্তু এসে জানতে পারেন আগামী তিন দিনের জন্য ফেরি চলাচর বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেক গাড়ি বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে গেছে। এই নৌপথে পাবনায় যেতে খরচ ও সময় কম লাগে। এ কারণে সহজে যাতায়াত করা যায় বলে এই নৌপথ ব্যবহার করা হয়।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাব্যতা-সংকট দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চ্যানেলগুলো ফেরি চলাচলের উপযোগী করতে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে তিন দিনের জন্য এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চ্যানেলগুলো পরিষ্কার হলেই ফেরি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তবে, সময়ের বিষয়টি নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। ইতিমধ্যেই বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সমস্যা সমাধানে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
মেহেরপুরের গাংনীতে তিন দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এবং মাঠ-ঘাটে। কুয়াশার কারণে রাস্তায় চলাচল করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যানবাহনগুলো লাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
৩৮ মিনিট আগেঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ে জনজীবন। টানা চার দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। তীব্র শীতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর...
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করার দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে