নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কর ফাঁকি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিক ও ক্যাপিটেল বনানী ওয়ান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন আমিন আহমেদ। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য বেলা ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। ৩টার পর আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট বাজারের ৩০.২৫ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা গোপন করার চেষ্টা এবং সাড়ে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু এবং হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তাঁর ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক এবং হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় ক্রয়ের জন্য অপর আসামি আমিন আহমেদের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিপত্র করেন।
চুক্তি করা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা এবং চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছ। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও মিসেস শিরিন আক্তার।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেন তিনি।
এ ছাড়া জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, জমি বিক্রয় ও প্রকৃত মূল্য গোপন করতে আমিন আহমেদ শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে সহযোগিতা করেছেন। আমিন আহমেদ ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও নগদে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে তাঁদের আয়কর নথিতে জমির জন্য মূল্য প্রদর্শন করেছেন ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৪ টাকা। অর্থাৎ শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর আয়-ব্যয় এবং প্রকৃত সম্পদের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে আত্মসাৎ করা অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, ছদ্মাবরণের মাধ্যমে গোপন করেছেন। আসামি আমিন আহমেদ বাচ্চুর অবৈধ অর্থের বৈধতা প্রদানে সরাসরি সহায়তা করেছেন।
এই মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ মে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুন আমিন আহমেদ হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন চান। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাঁকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতে পারবে না বলে হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ৩০ জুন ৭ দিনের মধ্যে আমীন আহমেদকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
কর ফাঁকি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিক ও ক্যাপিটেল বনানী ওয়ান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন আমিন আহমেদ। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য বেলা ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। ৩টার পর আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট বাজারের ৩০.২৫ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা গোপন করার চেষ্টা এবং সাড়ে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু এবং হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তাঁর ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক এবং হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় ক্রয়ের জন্য অপর আসামি আমিন আহমেদের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিপত্র করেন।
চুক্তি করা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা এবং চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছ। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও মিসেস শিরিন আক্তার।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেন তিনি।
এ ছাড়া জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, জমি বিক্রয় ও প্রকৃত মূল্য গোপন করতে আমিন আহমেদ শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে সহযোগিতা করেছেন। আমিন আহমেদ ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও নগদে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে তাঁদের আয়কর নথিতে জমির জন্য মূল্য প্রদর্শন করেছেন ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৪ টাকা। অর্থাৎ শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর আয়-ব্যয় এবং প্রকৃত সম্পদের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে আত্মসাৎ করা অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, ছদ্মাবরণের মাধ্যমে গোপন করেছেন। আসামি আমিন আহমেদ বাচ্চুর অবৈধ অর্থের বৈধতা প্রদানে সরাসরি সহায়তা করেছেন।
এই মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ মে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুন আমিন আহমেদ হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন চান। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাঁকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতে পারবে না বলে হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ৩০ জুন ৭ দিনের মধ্যে আমীন আহমেদকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পুলিশ তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ওসমান গনি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩১ মিনিট আগেবাসার সামনে খাটিয়া। তাতে রাখা নিজ সন্তানের লাশ। নির্বাক তাকিয়ে মা নাইমুন নাহার। হয়তো তখনো কল্পনা করতে পারেনি তার ছেলে নিথর। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ স্বজনেরা।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক উজ্জলকে নির্যাতনের ঘটনায় রিজভী আহমেদ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে
১ ঘণ্টা আগেতাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামীণ হাট থেকে জেলা বা বিভাগীয় শহরের প্রতিটি বাজারে বাজারদর বোর্ডে তুলে ধরতে হবে। যা নির্ধারণ করা হবে উৎপাদক বা কৃষক পর্যায়ের দামের ওপর। কোনো বিক্রেতা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগে