বাণিজ্য মেলায় চা খেতে আর রাজামামার সঙ্গে সেলফি তুলতে ভিড়

শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩: ৩৭
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯: ৩৯

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অন্য দোকানগুলোতে কেবল বেচাবিক্রি জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে মেলার শুরু থেকেই জমজমাট ‘রাজামামা’র চায়ের দোকান। তাঁর দোকানের সামনে ভিড় লেগেই আছে। তবে তাঁর ব্যস্ততা এখন চা বানানোর চেয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে সেলফি তোলাতেই।

রাজামামার চায়ের দোকানে প্রতিদিন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছে। অনেকে দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আসছে শুধু তাঁর চা খেতে। আজ মঙ্গলবার সরেজমিন বাণিজ্য মেলা ঘুরে ‘রাজামামার বিখ্যাত চা’-এর সামনে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।

রাজামামার আসল নাম আজহার উদ্দিন। বসয় ৪৩ বছর। বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নওধার গ্রামে। ছোটবেলা থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে তাঁকে। একসময় অভাব ঘোচাতে দুবাই পাড়ি জমান। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে চা স্টলের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে সারা দেশে তাঁর দোকানের ১৮টি শাখা রয়েছে। ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় একটি শাখা দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁর। 

 নিজ দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গেরাজামামা ওরফে আজহার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বাবা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। জায়গা-জমি বিক্রি করে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। তাঁর ধারণা ছিল, বিদেশে গিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু সেই সুযোগ হয়নি। দুবাই গিয়ে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছে। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন, দেশে ফিরে নিজেই চায়ের দোকান দেবেন। প্রথমে তাঁর ধারণা ছিল, দেশের মানুষ তাঁর দামি চা খাবে কি না। কিন্তু ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি।

রাজার চায়ের বিশেষত্ব হচ্ছে—কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, জাফরান, নানা মসলা, তালমিছরি, গরুর দুধ, গুঁড়া দুধ মিশিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে চা বানান তিনি। চা গরম করা হয় বালুর তাপে। রাজা বলেন, তাঁর চায়ে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানই দামি। তবে চা বিক্রি করে থাকেন সুলভ মূল্যে। প্রতি কাপ চা ৫০ টাকা।

রাজা আরও বলেন, যখন তিনি দেশে ফিরে চায়ের ব্যবসা শুরু করেন, গ্রামের অনেকে হাসি-ঠাট্টা করেছিল। কিন্তু আজ সবাই তাঁকে নিয়ে গর্ব করে। বর্তমানে তাঁর ১৮টি শাখায় ৭২ জন কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের গড়ে ১২ থেকে ২৮ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকেন।

চা হাতে বিশেষ ভঙ্গিতে (পেছনের ছবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী তাঁর চা পান করছেন)রাজামামার চা চেখে দেখতে এসেছেন আকাশ। তিনি বলেন, ‘আমি মিরপুর থেকে বাণিজ্য মেলায় এসেছি রাজামামার সঙ্গে একটি সেলফি তুলতে। আমি যখন শুনেছি রাজামামা এখানে আছেন, তখন থেকেই ভাবছি কখন রাজামামার দোকানে যাব।’ 

আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘রাজামামার চায়ের নাম অনেক শুনেছি, কিন্তু কখনো খাইনি। তাই আজ তাঁর চায়ের স্বাদ নিতে চলে এসেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত