হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় জিয়াউদ্দিন রুফি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫৬
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ১৩

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় হিমুর বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি ওরফে রাফিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিকেলে জিয়াউদ্দিন রুফিকে আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বংশাল থেকে রুফিকে আটক করে র‍্যাব। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় সোপর্দ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, জিয়াউদ্দিন রুফিকে আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন। তাঁর নিজস্ব কোনো ঠিকানা নেই। এ কারণে জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জিয়াউদ্দিন রুফিতদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছেন, হুমায়রা হিমুর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এসব কারণে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নওশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে হিমুর খালা রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফিকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জিয়াউদ্দিন রুফি হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝেমধ্যে হিমুর সঙ্গে থাকতেন রুফি।

১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বেলা ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলবেল দেন। ওই বাসায় থাকা হিমুর পালিত ভাই মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তাঁর রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, ‘হিমু আত্মহত্যা করেছে।’

মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।

মামলায় বলা হয় রুফি হিমুর বাসায় এসে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। প্ররোচনা দিয়ে তিনি বাথরুমে ঢোকেন। এই ফাঁকে হিমু আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ৃন

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত