Ajker Patrika

ফারদিন মাদকসেবী—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ৪৩
ফারদিন মাদকসেবী—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) মাদকসেবী বলে দাবি করছে র‍্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই দাবির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তাঁর পরিবার, স্বজন ও সহপাঠীরা। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ সিটি শাহীন নিহতের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফারদিন গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে সেখানে মাদক আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে সিটি শাহীনের অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় তারা। 

র‍্যাব বলছে, ফারদিন নিয়মিত মাদক নিতেন। এমনকি বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থীকে মাঝেমধ্যে মাদক সরবরাহ করতেন। তাঁর বান্ধবীও মাদকসেবী। তাঁরা ইয়াবা ও ফেনসিডিল নিতেন নিয়মিত। 

র‍্যাবের এমন দাবির বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন মাদকের কথা বলছে। কারণ মাদকের কথা বললে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কেউ আন্দোলন করবে না, আমরা সহানুভূতি পাব না। তাই মাদকের কথা বলা হয়েছে। আমার স্ত্রী এখনো ছেলেদের ভাত মেখে খাইয়ে দেয়, সে বাচ্চাদের খুব কাছাকাছি যায়, সে কখনো মাদকের ঘ্রাণ পায়নি। র‍্যাব-পুলিশ বললেই তো হবে না। মাদক নিতে সে কেন টিএসসি এলাকা রেখে রূপগঞ্জ যাবে? রমনা, সোহরাওয়ার্দী এবং এর আশপাশেই মাদক পাওয়া যায়।’ 

ফারদিনের মেজো ভাই আব্দুল্লাহ নূর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরে থেকে ধূমপানের ধোঁয়া এলে তো আমরা তিন ভাই দরজা-জানালা আটকে দিই, কেউ ধূমপানের গন্ধ সহ্য করতে পারি না। আমি ও আমার ভাই একসঙ্গে ঘুমাতাম, কখনো আমি এমন কিছু দেখিনি। আমার ভাইয়ের সার্কেল খুব ছোট। আমরা কখনো বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকি না। কারণ অন্যের বাসায় থাকতে আমরা লজ্জা পাই। সে গভীর রাতে মাদকের জন্য রূপগঞ্জ যাবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য না।’ 

তবে র‍্যাব ও ডিবি দাবি করছে, ফারদিন ও তাঁর বান্ধবী বুশরা উভয়েই মাদকসেবী। এমনকি ফারদিন বুয়েটের অনেককে মাদক সরবরাহ করতেন। গত শুক্রবার তিনি কোথাও মাদক না পেয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়ায় যান। 

র‍্যাব ও পুলিশের এমন দাবি নাকচ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ফারদিনের সহপাঠীরা। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন দাবিতে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। এক সহপাঠী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফারদিন হলে থাকলে আমার কাছেই আসত। সে পড়ালেখা ও বিতর্কের বাইরে আর কিছু চিন্তা করত না। সে ধূমপানও করে না। র‍্যাব ও পুলিশের উচিত সত্য উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।’ 

এদিকে ‘সন্ত্রাসী’ সিটি শাহীন নিহতের ঘটনায় র‍্যাবের করা দুটি মামলার একটির এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদকের বড় চালান ক্রয়-বিক্রয়ের খবর পেয়ে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বালুর মাঠে যায় র‍্যাবের একটি দল। মাদক ব্যবসায়ীরা র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ১০-১৫ মিনিট গোলাগুলি চলে। স্থানীয় লোকজন ও রূপগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুপুর ২টার দিকে বালুর মাঠের মাঝখানে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ শাহীনকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, র‍্যাব বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চনপাড়ায় অভিযান চালায়, সেখান থেকেই শাহীনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তাঁরা। 

র‍্যাবের একটি সূত্র দাবি করছে, ফারদিনের সঙ্গে পুরোনো দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধ ছিল। সেটি নিয়েই ঝামেলা হয়েছে। তবে ফারদিনকে হত্যা করে কীভাবে কখন কোথায় নিয়ে ফেলা হয় তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট করেনি র‍্যাব। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চনপাড়া বস্তিতে র‍্যাব  ১-এর একটি অভিযান ছিল, তবে সেটি ফারদিন ইস্যু কেন্দ্রিক ছিল না। অভিযানের পর আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি, সেগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘চনপাড়া বস্তিতে এর আগেও পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা আছে। আমরা ফারদিনের বিষয়টি এখনো তদন্ত করছি।’ 

এদিকে চনপাড়া বস্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবির একটি দলও গিয়েছিল। তারাও দুই-তিনজন চিহ্নিত অপরাধীকে হেফাজতে নিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর গত বুধবার দিবাগত রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন বাবা নূর উদ্দীন রানা। ওই মামলায় বুশরা পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। 

মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত এখনো চলছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত