ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।
সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।
তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।
জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।
শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।
জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?
শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।
জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।
শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।
জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।
শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।
জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?
শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।
জাকির: হু, ওইডাই।
শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।
জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।
শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।
জাকির: হু কও।
শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।
জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।
শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।
জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।
শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।
দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।
এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’
তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।
বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।
সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।
তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।
জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।
শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।
জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?
শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।
জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।
শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।
জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।
শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।
জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?
শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।
জাকির: হু, ওইডাই।
শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।
জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।
শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।
জাকির: হু কও।
শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।
জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।
শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।
জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।
শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।
দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।
এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’
তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।
হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী জরিপ, গণশুনানি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় রাত নামতেই শুরু হয় পদ্মা নদীর বালু লুটের মহোৎসব। প্রতিদিন প্রায় ৫০টি খননযন্ত্র (ড্রেজার) সক্রিয় থাকে ভোর পর্যন্ত। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধসহ দুই উপজেলার ডান তীর রক্ষা বাঁধ। প্রশাসন বলছে, আটক-জরিমানা করেও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের আলুচাষিরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার রয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, ভারী বৃষ্টি হলে আলুর জমির অনেক ক্ষতি হবে। আলুখেতে অতিরিক্ত পান
৭ ঘণ্টা আগেমায়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের প্রবাসী আয়নাল হক। বৃদ্ধ মাকে বিদেশে ঘুরিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি এনেছেন তিনি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাকে হেলিকপ্টারে নিয়ে উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে