আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
শবে কদর ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের হাট-বাজারগুলোতে বাজি-পটকায় সয়লাব হয়ে গেছে। এগুলো বিক্রি করছে শিশু-কিশোররা। ফলে তীব্র এই গরমে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনতে পারে বলে আশঙ্কা অভিভাবক ও স্থানীয়দের। তাই এখনই হাট-বাজার থেকে এই বাজি-পটকা বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজদিখান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মুদি, ক্রোকারিজ ও কাপড়সহ বিভিন্ন দোকানের সামনে ভ্রাম্যমাণ টেবিলে পসরা বসিয়ে বাজি-পটকা বিক্রি করছে শিশু-কিশোররা। বিপজ্জনক এসব বাজি-পটকা হরহামেশায় কিনছে শিশু-কিশোরেরা। সিরাজদিখান বাজারের পৃথক স্থানে ৮-১০ জন শিশু-কিশোর দিয়ে বিক্রি করানো হচ্ছে এসব বাজি-পটকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি করছে তারা। এ ছাড়া উপজেলার ইছাপুরা, তালতলা, বালুচর, নিমতলা বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এসব বিস্ফোরক বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সিরাজদিখান বাজারের দুধপট্টি নামক এলাকায় টেবিল বসিয়ে বাজি-পটকা বিক্রি করছে এক শিশু। এ সময় জানতে চাইলে সে জানান, কিট-ক্যাটের চেয়েও বিকট আওয়াজ তুলতে সক্ষম ‘চকলেট’ নামের পটকা। এটিও দেখতে গুলের কৌটার মতো। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে। এর চেয়েও বেশি আওয়াজের জন্য যেগুলো পটকা রয়েছে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এ বিষয়ে তাঁর বাবা ইউসুফ আরও ভালো বলতে পারবেন বলে জানান ওই শিশু।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় মো. ইউসুফের সঙ্গে। এই বাজি-পটকা শিশুরা কিনে নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই গুলো বিক্রি করা কি ঠিক?—এমন প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা ইউসুফ বলেন, ‘এগুলো আর বিক্রি করব না, সব নিয়ে চলে যাব বাড়িতে। আপনারা যেহেতু নিষেধ করছেন তাই আর বিক্রি করব না।’ শিশু ছেলেকে দিয়ে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আমার সঙ্গে চলে এসে, তাই দোকানে বসিয়ে রাখছি।’
সিরাজদিখান বাজারের আরেক বিক্রেতা মো. সেলিম তাঁর শিশু ছেলেকে দিয়ে বাজি-পটকা বিক্রি করাচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনিও জানান এগুলো আর বিক্রি করবেন না।
স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক জানান, ছেলে-মেয়েদের আবদারের কারণে এই ক্ষতিকর জিনিস কিনতে হয় তাঁদের। এখনই এগুলো বিক্রি বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই এসব জিনিসের বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান অভিভাবকেরা।
বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, ‘ঈদ এলেই হাট-বাজারগুলোতে বাজি-পটকায় সয়লাব হয়ে যায়। কখনো দেখিনি প্রশাসনকে বিক্রি বন্ধ করতে, যদি এগুলো বিক্রি বন্ধ করা হতো, তবে এগুলো উন্মুক্তভাবে বিক্রি করতে পারত না কেউ। এ ছাড়া দেশে যেহেতু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তাই আমি মনে করি এগুলো এখন বিক্রি করা একেবারেই নিষিদ্ধ করা জরুরি, তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘বাজি-পটকার বিকট আওয়াজে আশপাশের মানুষের কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। এতে শ্রাব্যতার পাল্লা অতিক্রম করলে বিকট আওয়াজে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও দীর্ঘদিনের জন্য কানের শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পায়। আচমকা আঘাতে স্নায়ু দুর্বল হয়ে বড় ধরনের অসুখের সম্ভাবনাও থাকে। তাই বাজি-পটকা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। ’
সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি জানার পরে পুলিশ পাঠিয়ে কয়েকটি দোকানের বাজি-পটকা জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এরপরও যদি কেউ দোকান বসিয়ে থাকে প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শবে কদর ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের হাট-বাজারগুলোতে বাজি-পটকায় সয়লাব হয়ে গেছে। এগুলো বিক্রি করছে শিশু-কিশোররা। ফলে তীব্র এই গরমে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনতে পারে বলে আশঙ্কা অভিভাবক ও স্থানীয়দের। তাই এখনই হাট-বাজার থেকে এই বাজি-পটকা বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজদিখান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মুদি, ক্রোকারিজ ও কাপড়সহ বিভিন্ন দোকানের সামনে ভ্রাম্যমাণ টেবিলে পসরা বসিয়ে বাজি-পটকা বিক্রি করছে শিশু-কিশোররা। বিপজ্জনক এসব বাজি-পটকা হরহামেশায় কিনছে শিশু-কিশোরেরা। সিরাজদিখান বাজারের পৃথক স্থানে ৮-১০ জন শিশু-কিশোর দিয়ে বিক্রি করানো হচ্ছে এসব বাজি-পটকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি করছে তারা। এ ছাড়া উপজেলার ইছাপুরা, তালতলা, বালুচর, নিমতলা বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এসব বিস্ফোরক বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সিরাজদিখান বাজারের দুধপট্টি নামক এলাকায় টেবিল বসিয়ে বাজি-পটকা বিক্রি করছে এক শিশু। এ সময় জানতে চাইলে সে জানান, কিট-ক্যাটের চেয়েও বিকট আওয়াজ তুলতে সক্ষম ‘চকলেট’ নামের পটকা। এটিও দেখতে গুলের কৌটার মতো। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে। এর চেয়েও বেশি আওয়াজের জন্য যেগুলো পটকা রয়েছে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এ বিষয়ে তাঁর বাবা ইউসুফ আরও ভালো বলতে পারবেন বলে জানান ওই শিশু।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় মো. ইউসুফের সঙ্গে। এই বাজি-পটকা শিশুরা কিনে নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই গুলো বিক্রি করা কি ঠিক?—এমন প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা ইউসুফ বলেন, ‘এগুলো আর বিক্রি করব না, সব নিয়ে চলে যাব বাড়িতে। আপনারা যেহেতু নিষেধ করছেন তাই আর বিক্রি করব না।’ শিশু ছেলেকে দিয়ে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আমার সঙ্গে চলে এসে, তাই দোকানে বসিয়ে রাখছি।’
সিরাজদিখান বাজারের আরেক বিক্রেতা মো. সেলিম তাঁর শিশু ছেলেকে দিয়ে বাজি-পটকা বিক্রি করাচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনিও জানান এগুলো আর বিক্রি করবেন না।
স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক জানান, ছেলে-মেয়েদের আবদারের কারণে এই ক্ষতিকর জিনিস কিনতে হয় তাঁদের। এখনই এগুলো বিক্রি বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই এসব জিনিসের বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান অভিভাবকেরা।
বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, ‘ঈদ এলেই হাট-বাজারগুলোতে বাজি-পটকায় সয়লাব হয়ে যায়। কখনো দেখিনি প্রশাসনকে বিক্রি বন্ধ করতে, যদি এগুলো বিক্রি বন্ধ করা হতো, তবে এগুলো উন্মুক্তভাবে বিক্রি করতে পারত না কেউ। এ ছাড়া দেশে যেহেতু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তাই আমি মনে করি এগুলো এখন বিক্রি করা একেবারেই নিষিদ্ধ করা জরুরি, তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘বাজি-পটকার বিকট আওয়াজে আশপাশের মানুষের কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। এতে শ্রাব্যতার পাল্লা অতিক্রম করলে বিকট আওয়াজে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও দীর্ঘদিনের জন্য কানের শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পায়। আচমকা আঘাতে স্নায়ু দুর্বল হয়ে বড় ধরনের অসুখের সম্ভাবনাও থাকে। তাই বাজি-পটকা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। ’
সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি জানার পরে পুলিশ পাঠিয়ে কয়েকটি দোকানের বাজি-পটকা জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এরপরও যদি কেউ দোকান বসিয়ে থাকে প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা পারভীন বলেন, সেলীম রেজা ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার চার্জশিট
২ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়ায় খাসি (খাসিয়া) সম্প্রদায়ের বর্ষবিদায় ও নতুন বছরকে বরণের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খেলার মাঠে খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের আয়োজনে উৎসবটি হয়।
২১ মিনিট আগে৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সব বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগেজামালপুরের চরাঞ্চলে শীতকালীন সবজির বাগানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে একদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টি, অন্যদিকে খরার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবজি গাছ মরে যাচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, এই সময়ে কৃষি বিভাগের কোনো সহায়তা পাননি তাঁরা।
২৫ মিনিট আগে