টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আড়াই বছর পর এক প্রসূতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনের সূচনা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার গওহরডাঙা গ্রামের পলাশ হোসেনের স্ত্রী জান্নাতি বেগমের (২০) সিজার অপারেশন করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে জান্নাতি বেগম প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন বাচ্চার নড়াচড়া খুবই কম। এ ছাড়া প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হওয়ায় নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে প্রসূতির সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা করে। পরে সিজারের মাধ্যমে ৩ কেজি ওজনের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
প্রসূতির স্বামী পলাশ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে সবাই বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমার সামর্থ্য না থাকায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না। এরপর ধীরে ধীরে আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তাররা হাসপাতালে সিজারের ব্যবস্থা করেন। পরে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯৬ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর আগে থেকেও চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। গওহরডাঙা গ্রামের পলাশ হোসেন খুবই দরিদ্র। তাই কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সিজার অপারেশন করানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সম্প্রতি তিনজন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করায় প্রসূতির সিজার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসক যোগদান করায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি হাসপাতালটি শিগগিরই ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ হবে। এ ছাড়া প্রসূতিদের সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ায় হাসপাতালে আরও একটি সেবার দ্বার উন্মোচন হল। এতে টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ উপকৃত হবে ও স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।
সিজারিয়ান অপারেশনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি ডা. শামিমা ইসলাম, অ্যানেসথেসিয়া ডা. শাহজাহান ও ডা. ফাকিয়া কামালসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশগ্রহণ করেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আড়াই বছর পর এক প্রসূতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনের সূচনা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার গওহরডাঙা গ্রামের পলাশ হোসেনের স্ত্রী জান্নাতি বেগমের (২০) সিজার অপারেশন করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে জান্নাতি বেগম প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন বাচ্চার নড়াচড়া খুবই কম। এ ছাড়া প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হওয়ায় নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে প্রসূতির সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা করে। পরে সিজারের মাধ্যমে ৩ কেজি ওজনের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
প্রসূতির স্বামী পলাশ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে সবাই বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমার সামর্থ্য না থাকায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না। এরপর ধীরে ধীরে আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তাররা হাসপাতালে সিজারের ব্যবস্থা করেন। পরে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯৬ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর আগে থেকেও চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। গওহরডাঙা গ্রামের পলাশ হোসেন খুবই দরিদ্র। তাই কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সিজার অপারেশন করানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সম্প্রতি তিনজন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করায় প্রসূতির সিজার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসক যোগদান করায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি হাসপাতালটি শিগগিরই ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ হবে। এ ছাড়া প্রসূতিদের সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ায় হাসপাতালে আরও একটি সেবার দ্বার উন্মোচন হল। এতে টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ উপকৃত হবে ও স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।
সিজারিয়ান অপারেশনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি ডা. শামিমা ইসলাম, অ্যানেসথেসিয়া ডা. শাহজাহান ও ডা. ফাকিয়া কামালসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশগ্রহণ করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, হবিগঞ্জ জেলা সদরের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চালু করা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজটির জন্য যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে হবে। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে ইতিমধ্যে একটি ব্যাচ এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করলেও এখন...
৩ মিনিট আগেঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ট্রাফিক আইন অমান্য করে উল্টো পথে নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। কিন্তু উল্টো পথে চলাচলে বাধা দেয় ট্রাফিক স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। আর তাতেই রেগে আগুন হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন তিনি; যার ভিডিও...
২৫ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরের নাজির শাহিন আলমকে মোবাইলে হুমকির পর মারপিটের ঘটনায় মনিরামপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে...
৪৪ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের জুমপাড়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার বাদ জুমা স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে জাফলং বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কান্দুবস্তিসংলগ্ন জুমপাড়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধে গিয়ে শেষ হয়।
১ ঘণ্টা আগে