Ajker Patrika

আড়াই বছর পর টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের সূচনা

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ১৪
আড়াই বছর পর টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের সূচনা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আড়াই বছর পর এক প্রসূতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনের সূচনা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার গওহরডাঙা গ্রামের পলাশ হোসেনের স্ত্রী জান্নাতি বেগমের (২০) সিজার অপারেশন করা হয়।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে জান্নাতি বেগম প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন বাচ্চার নড়াচড়া খুবই কম। এ ছাড়া প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হওয়ায় নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে প্রসূতির সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা করে। পরে সিজারের মাধ্যমে ৩ কেজি ওজনের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি। 

প্রসূতির স্বামী পলাশ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে সবাই বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমার সামর্থ্য না থাকায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না। এরপর ধীরে ধীরে আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তাররা হাসপাতালে সিজারের ব্যবস্থা করেন। পরে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯৬ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর আগে থেকেও চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। গওহরডাঙা গ্রামের পলাশ হোসেন খুবই দরিদ্র। তাই কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সিজার অপারেশন করানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সম্প্রতি তিনজন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করায় প্রসূতির সিজার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসক যোগদান করায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি হাসপাতালটি শিগগিরই ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ হবে। এ ছাড়া প্রসূতিদের সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ায় হাসপাতালে আরও একটি সেবার দ্বার উন্মোচন হল। এতে টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ উপকৃত হবে ও স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে। 

সিজারিয়ান অপারেশনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি ডা. শামিমা ইসলাম, অ্যানেসথেসিয়া ডা. শাহজাহান ও ডা. ফাকিয়া কামালসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশগ্রহণ করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত