নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এই কর্মসূচি পালন করে।
‘হেইট থ্রো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি পালন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হুসেইন, ঢাবি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ সময় গেস্টরুম, গণরুম, ভাইটাল প্রোগ্রাম, আধিপত্যবাদেরও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আমার সোনার বাংলায়, মুজিববাদের ঠাঁই নাই/স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’, ‘হাসিনা/সাদ্দাম/কাদের/শয়নের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাশে আওয়ামী-ছাত্রলীগের নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার টানানো হয়। এ সময় একদল শিক্ষার্থী সেখানে জুতা মারার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৩টি জুতা নিক্ষেপ করার সুযোগ পান। কেউ যদি জুতা নিক্ষেপ করে টানা ৩ বার ব্যানারের নেতাদের গায়ে লাগাতে পারলে তাকে একটি কোমল পানীয় ‘মোজো’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচের সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাতে বলত, আগামীকাল ভাইটাল প্রোগ্রাম আছে, কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হবে। তাঁর ক্লাস পরীক্ষা করতে দিত না, দাসপ্রথার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। আমরা সন্ত্রাসীদের ছবিতে জুতা মারার পাশাপাশি, গেস্টরুম, গণরুম, ভাইটাল প্রোগ্রাম, আধিপত্যবাদ, লেজুড়বৃত্তি, ফ্যাসবাদ, মুজিবাদের টার্মের কবর রচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের খুনিরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান এ শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মুজিবের গ্রাফিতিতে জুতা ও কালি নিক্ষেপ
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে ‘ঘৃণার’ অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতিতে জুতা, লাল-কালো কালি নিক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০২২ সালের ২ এপ্রিল ‘চির বিস্ময় বঙ্গবন্ধু’ নামে হলের দেয়াল ঘেঁষে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়।
এ সময় শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী আহমেদ আল সাবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার ও খুনি শাসক ছিল শেখ মুজিব। সিরাজ শিকদারের হত্যার মাধ্যমে যিনি স্বাধীন দেশে প্রথম আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেন, বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যিনি ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটান, রক্ষীবাহিনী গঠনের মাধ্যমে যিনি তার কুশাসন চালান, সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে যিনি সারা দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেন। সেই শেখ মুজিবের হাতে গড়া সন্ত্রাসী সংগঠন, খুনি হাসিনার পেটোয়া বাহিনী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুজিব হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্ট মুজিবের গ্রাফিতিতে জুতা ও রং নিক্ষেপ করে তাঁদের ঘৃণা প্রকাশ করেছে।’
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এই কর্মসূচি পালন করে।
‘হেইট থ্রো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি পালন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হুসেইন, ঢাবি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ সময় গেস্টরুম, গণরুম, ভাইটাল প্রোগ্রাম, আধিপত্যবাদেরও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আমার সোনার বাংলায়, মুজিববাদের ঠাঁই নাই/স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’, ‘হাসিনা/সাদ্দাম/কাদের/শয়নের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাশে আওয়ামী-ছাত্রলীগের নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার টানানো হয়। এ সময় একদল শিক্ষার্থী সেখানে জুতা মারার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৩টি জুতা নিক্ষেপ করার সুযোগ পান। কেউ যদি জুতা নিক্ষেপ করে টানা ৩ বার ব্যানারের নেতাদের গায়ে লাগাতে পারলে তাকে একটি কোমল পানীয় ‘মোজো’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচের সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাতে বলত, আগামীকাল ভাইটাল প্রোগ্রাম আছে, কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হবে। তাঁর ক্লাস পরীক্ষা করতে দিত না, দাসপ্রথার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। আমরা সন্ত্রাসীদের ছবিতে জুতা মারার পাশাপাশি, গেস্টরুম, গণরুম, ভাইটাল প্রোগ্রাম, আধিপত্যবাদ, লেজুড়বৃত্তি, ফ্যাসবাদ, মুজিবাদের টার্মের কবর রচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের খুনিরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান এ শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মুজিবের গ্রাফিতিতে জুতা ও কালি নিক্ষেপ
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে ‘ঘৃণার’ অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতিতে জুতা, লাল-কালো কালি নিক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০২২ সালের ২ এপ্রিল ‘চির বিস্ময় বঙ্গবন্ধু’ নামে হলের দেয়াল ঘেঁষে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়।
এ সময় শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী আহমেদ আল সাবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার ও খুনি শাসক ছিল শেখ মুজিব। সিরাজ শিকদারের হত্যার মাধ্যমে যিনি স্বাধীন দেশে প্রথম আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেন, বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যিনি ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটান, রক্ষীবাহিনী গঠনের মাধ্যমে যিনি তার কুশাসন চালান, সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে যিনি সারা দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেন। সেই শেখ মুজিবের হাতে গড়া সন্ত্রাসী সংগঠন, খুনি হাসিনার পেটোয়া বাহিনী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুজিব হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্ট মুজিবের গ্রাফিতিতে জুতা ও রং নিক্ষেপ করে তাঁদের ঘৃণা প্রকাশ করেছে।’
ইমন আওয়ামী নেতা ও মন্ত্রীদের রোষানলে পড়ে একাধিক মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলখানায় আটক ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইমন জামিনে মুক্তি পায়। ইমন বর্তমানে বিদেশে। কিন্তু তাঁকে এলিফ্যান্ট রোডের হামলায় আসামি করা হয়েছে...
৭ মিনিট আগেডা. শফিক বলেন, ‘রাজশাহী, যেটাকে শিক্ষার ভিলেজ বলা হয়, শিক্ষার গ্রাম। আমি আশা করি, ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) পর রাজশাহীতে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। এখানকার মানুষ ভদ্র, বিনয়ী ও সৎ। কেউ চাঁদাবাজি এখানে করে না, ঠিক না?’ এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘চাঁদাবাজি হয়’ বলে আওয়াজ তোলেন। আমির প্রশ্ন করেন, ‘এখানেও চাঁদাবাজি হয়...
১১ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাজারীবাগ ৭/এ রোডের ৯১/কে নম্বর বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়...
২ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ছিনতাই মামলার আসামি শাহাদত হোসেন কলমকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার মহাদেবপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার আদমদীঘি থানা-পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে