সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে প্রাথমিক পর্যায়ের সবচেয়ে পরিচিত স্কুলটির নাম সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। বাকি সব শিক্ষক জেলার হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। সদর উপজেলায় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য নেই।
অন্যদিকে হাওরবেষ্টিত করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৫টি পদের মধ্যে ২টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে রয়েছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শুধু এ স্কুলই নয়, প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি স্কুল শিক্ষক-সংকটে ভুগছে।
জানা গেছে, যোগাযোগ ও সুযোগ-সুবিধার ঘাটতির অজুহাতে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে বেশি দিন থাকতে চান না। বদলি হয়ে চলে যান জেলা শহর ও আশপাশের স্কুলগুলোতে। ফলে জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে খুব কমই শূন্য হয় শিক্ষকের পদ। এ কারণে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে চাকরিপ্রত্যাশীরা নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে বারবার পদ শূন্য হওয়ায় প্রতি নিয়োগেই চাকরির সুবিধা যাচ্ছে হাওর এলাকায়।
তাহলে হাওরাঞ্চলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরা কোথায় যান? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, নিয়োগ পেয়ে বছরখানেকের মধ্যেই হাওরাঞ্চলের শিক্ষকেরা নানা কৌশলে বদলি হয়ে জেলা শহরের স্কুলগুলোতে যান। ফলে আবার শূন্য হয়ে যায় হাওরে শিক্ষকের পদ। পরে এসব শূন্যপদে নিয়োগ হলে আবার সুযোগ পান হাওরের চাকরিপ্রত্যাশীরাই। আর বঞ্চিত হন কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জসহ উজান এলাকার চাকরিপ্রত্যাশীরা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শামছুল হক ফরহাদ বলেন, নীতিমালা অমান্য করে অনিয়মের মাধ্যমে বদলি হয়ে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ হাওর এলাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষক করিমগঞ্জে চাকরি করছেন। স্বামী বা স্ত্রীর কর্মস্থলে সীমিতসংখ্যক শিক্ষকের বদলির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে বেশির ভাগ শিক্ষক নদীভাঙন দেখিয়ে বা অন্য কোনো তদবিরে বদলি হয়ে এসেছেন। এ কারণে উপজেলায় কখনো শিক্ষকের পদ শূন্য হয় না। ফলে করিমগঞ্জের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা থেকে বদলি হয়ে উজান এলাকায় আসেন। সেখানে আবার শিক্ষকের পদ শূন্য হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে ওই সব এলাকাতেই চাকরির সুযোগ তৈরি হয়। করিমগঞ্জসহ উজান এলাকায় পদ শূন্য না হওয়ায় চাকরিও জোটে না আগ্রহীদের।
করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, করিমগঞ্জের ১২৫টি স্কুলে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৭৩২ জন। এর প্রায় অর্ধেকই বদলি হয়ে আসা শিক্ষক। আর কিশোরগঞ্জ সদরের ১৪৫টি স্কুলে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৯৯৩ জন। যার ৭০-৮০ ভাগই বদলি হয়ে এসেছেন। এ প্রবণতা এখনো তীব্র। ফলে এই দুই উপজেলার স্থানীয়রা প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না বহু বছর ধরে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন বলেন, সদরে অবসরজনিত কারণে কোনো পদ শূন্য হলে ঝড়ের বেগে বহিরাগতরা বদলি হয়ে চলে আসেন। ফলে নতুন নিয়োগে সদরের কোনো শূন্যপদ থাকে না। আর এ কারণে সদরের স্থায়ী বাসিন্দাদের চাকরি হয় না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় চাকরি পেয়েছেন ২৮৮ জন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলা চাকরি জুটেছে মাত্র দুজন করে। অন্যদিকে হাওর উপজেলা ইটনায় ৩৮, মিঠামইনে ২৮ ও অষ্টগ্রামে ৪০ জন শিক্ষকের
চাকরি হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর হলে হাওর থেকে জেলা শহরে বদলির এ প্রবণতা কমতে পারে। বদলির কারণে বৈষম্য সৃষ্টি হোক, ব্যক্তিগতভাবে আমিও চাই না।’
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে প্রাথমিক পর্যায়ের সবচেয়ে পরিচিত স্কুলটির নাম সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। বাকি সব শিক্ষক জেলার হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। সদর উপজেলায় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য নেই।
অন্যদিকে হাওরবেষ্টিত করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৫টি পদের মধ্যে ২টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে রয়েছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শুধু এ স্কুলই নয়, প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি স্কুল শিক্ষক-সংকটে ভুগছে।
জানা গেছে, যোগাযোগ ও সুযোগ-সুবিধার ঘাটতির অজুহাতে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে বেশি দিন থাকতে চান না। বদলি হয়ে চলে যান জেলা শহর ও আশপাশের স্কুলগুলোতে। ফলে জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে খুব কমই শূন্য হয় শিক্ষকের পদ। এ কারণে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে চাকরিপ্রত্যাশীরা নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে বারবার পদ শূন্য হওয়ায় প্রতি নিয়োগেই চাকরির সুবিধা যাচ্ছে হাওর এলাকায়।
তাহলে হাওরাঞ্চলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরা কোথায় যান? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, নিয়োগ পেয়ে বছরখানেকের মধ্যেই হাওরাঞ্চলের শিক্ষকেরা নানা কৌশলে বদলি হয়ে জেলা শহরের স্কুলগুলোতে যান। ফলে আবার শূন্য হয়ে যায় হাওরে শিক্ষকের পদ। পরে এসব শূন্যপদে নিয়োগ হলে আবার সুযোগ পান হাওরের চাকরিপ্রত্যাশীরাই। আর বঞ্চিত হন কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জসহ উজান এলাকার চাকরিপ্রত্যাশীরা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শামছুল হক ফরহাদ বলেন, নীতিমালা অমান্য করে অনিয়মের মাধ্যমে বদলি হয়ে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ হাওর এলাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষক করিমগঞ্জে চাকরি করছেন। স্বামী বা স্ত্রীর কর্মস্থলে সীমিতসংখ্যক শিক্ষকের বদলির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে বেশির ভাগ শিক্ষক নদীভাঙন দেখিয়ে বা অন্য কোনো তদবিরে বদলি হয়ে এসেছেন। এ কারণে উপজেলায় কখনো শিক্ষকের পদ শূন্য হয় না। ফলে করিমগঞ্জের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা থেকে বদলি হয়ে উজান এলাকায় আসেন। সেখানে আবার শিক্ষকের পদ শূন্য হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে ওই সব এলাকাতেই চাকরির সুযোগ তৈরি হয়। করিমগঞ্জসহ উজান এলাকায় পদ শূন্য না হওয়ায় চাকরিও জোটে না আগ্রহীদের।
করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, করিমগঞ্জের ১২৫টি স্কুলে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৭৩২ জন। এর প্রায় অর্ধেকই বদলি হয়ে আসা শিক্ষক। আর কিশোরগঞ্জ সদরের ১৪৫টি স্কুলে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৯৯৩ জন। যার ৭০-৮০ ভাগই বদলি হয়ে এসেছেন। এ প্রবণতা এখনো তীব্র। ফলে এই দুই উপজেলার স্থানীয়রা প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না বহু বছর ধরে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন বলেন, সদরে অবসরজনিত কারণে কোনো পদ শূন্য হলে ঝড়ের বেগে বহিরাগতরা বদলি হয়ে চলে আসেন। ফলে নতুন নিয়োগে সদরের কোনো শূন্যপদ থাকে না। আর এ কারণে সদরের স্থায়ী বাসিন্দাদের চাকরি হয় না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় চাকরি পেয়েছেন ২৮৮ জন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলা চাকরি জুটেছে মাত্র দুজন করে। অন্যদিকে হাওর উপজেলা ইটনায় ৩৮, মিঠামইনে ২৮ ও অষ্টগ্রামে ৪০ জন শিক্ষকের
চাকরি হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর হলে হাওর থেকে জেলা শহরে বদলির এ প্রবণতা কমতে পারে। বদলির কারণে বৈষম্য সৃষ্টি হোক, ব্যক্তিগতভাবে আমিও চাই না।’
জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৫ আগস্ট। সেদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়রের সঙ্গে কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ১৮ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে দায়
৪ ঘণ্টা আগেদেশের একমাত্র অ্যালকোহল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙায় অবস্থিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানিকে দেশি মদ বোতলজাত করে বিক্রির অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ আমল থেকে বিদ্যমান অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা পরিবর্তন ছাড়াই কর্তৃপক্ষ ‘তড়িঘড়ি করে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। অধিদপ্তরে
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ময়মনসিংহে চলছে রমরমা মামলা-বাণিজ্য। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগীসংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আসামি করা হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদেরও। বাদ পড়ছেন না ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ মানুষও। মামলাকে পুঁজি করে লেনদেন হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এ নিয়ে সমালোচ
৪ ঘণ্টা আগেভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
৫ ঘণ্টা আগে