মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পৌর কর্তৃপক্ষের নিবন্ধনহীন এসব যানের কারণে শহরে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। অনভিজ্ঞ ও বেপরোয়া চালকদের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের কিছু সদস্যের নামে রিকশাগুলো চলছে। অন্যরা গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকলে আটক হন এবং ঘুষ দিয়ে ছাড়া পান।
এ নিয়ে রিকশাচালকেরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন; যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবরও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা ট্রাফিক পুলিশের পাঁচজন সহকারী শহর উপপরিদর্শকের (এটিএসআই) নামে ৩৬০টি অটোরিকশা চলাচল করে। এর বাইরের রিকশা শহরে প্রবেশ করলে প্রতি মাসে পুলিশকে দিতে হয় ২ হাজার টাকা। আর যেসব চালকেরা এর বাইরে থাকেন, তাঁদের রিকশা আটক করলেই ১ হাজার টাকা দিতে হয়।
রিকশাচালকেরা জানান, পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা অটোরিকশা শহরে এলেই আটক করে এসকে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে জড়ো করা হয়। পরে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চালকদের ওপর নির্যাতন চলে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘আমরা যারা রিকশা চালাই, তারা নিম্ন আয়ের গরিব মানুষ। ভাড়ায় রিকশা এনে চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের নানাভাবে অত্যাচার করে। পৌরসভা থেকে আমাদের রিকশার রেজিস্ট্রেশন করে দিলে পুলিশের ভোগান্তি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে পারি।’
মানিকগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক সায়েদুর রহমান জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পৌরসভার ভেতরে চলাচলের জন্য ৭২০টি হ্যালোবাইককে (ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক) অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাস পর্যন্ত নবায়ন হয়েছে ৪৯০টি। তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। যেগুলো চলছে, তা অবৈধভাবে পুলিশকে হাত করে চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মেরাজ উদ্দিন বলেন, অটোচালকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আটক রিকশা ছেড়ে দেওয়া এবং ট্রাফিক পুলিশের নামের অটোরিকশা চলাচল করার অভিযোগ সত্য নয়। এই ধরনের অপকর্মের সঙ্গে কোনো ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, এত দিন হ্যালোবাইকের নিবন্ধন পৌরসভার আওতায় থাকলেও অটোরিকশা ছিল না। গত মাসিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর থেকে অটোরিকশা পৌরসভার নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। শুরুতে নবায়ন ফি ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা।
তসলিম মিয়া বলেন, নতুন অর্থবছর থেকে পৌরসভার নিবন্ধন ছাড়া কোনো হ্যালোবাইক এবং অটোরিকশা শহরে চলাচল করতে পারবে না। কোনো চালক যদি নিবন্ধন না করে রিকশা রাস্তায় নামান, তাহলে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মানিকগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পৌর কর্তৃপক্ষের নিবন্ধনহীন এসব যানের কারণে শহরে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। অনভিজ্ঞ ও বেপরোয়া চালকদের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের কিছু সদস্যের নামে রিকশাগুলো চলছে। অন্যরা গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকলে আটক হন এবং ঘুষ দিয়ে ছাড়া পান।
এ নিয়ে রিকশাচালকেরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন; যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবরও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা ট্রাফিক পুলিশের পাঁচজন সহকারী শহর উপপরিদর্শকের (এটিএসআই) নামে ৩৬০টি অটোরিকশা চলাচল করে। এর বাইরের রিকশা শহরে প্রবেশ করলে প্রতি মাসে পুলিশকে দিতে হয় ২ হাজার টাকা। আর যেসব চালকেরা এর বাইরে থাকেন, তাঁদের রিকশা আটক করলেই ১ হাজার টাকা দিতে হয়।
রিকশাচালকেরা জানান, পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা অটোরিকশা শহরে এলেই আটক করে এসকে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে জড়ো করা হয়। পরে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চালকদের ওপর নির্যাতন চলে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘আমরা যারা রিকশা চালাই, তারা নিম্ন আয়ের গরিব মানুষ। ভাড়ায় রিকশা এনে চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের নানাভাবে অত্যাচার করে। পৌরসভা থেকে আমাদের রিকশার রেজিস্ট্রেশন করে দিলে পুলিশের ভোগান্তি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে পারি।’
মানিকগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক সায়েদুর রহমান জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পৌরসভার ভেতরে চলাচলের জন্য ৭২০টি হ্যালোবাইককে (ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক) অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাস পর্যন্ত নবায়ন হয়েছে ৪৯০টি। তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। যেগুলো চলছে, তা অবৈধভাবে পুলিশকে হাত করে চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মেরাজ উদ্দিন বলেন, অটোচালকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আটক রিকশা ছেড়ে দেওয়া এবং ট্রাফিক পুলিশের নামের অটোরিকশা চলাচল করার অভিযোগ সত্য নয়। এই ধরনের অপকর্মের সঙ্গে কোনো ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, এত দিন হ্যালোবাইকের নিবন্ধন পৌরসভার আওতায় থাকলেও অটোরিকশা ছিল না। গত মাসিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর থেকে অটোরিকশা পৌরসভার নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। শুরুতে নবায়ন ফি ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা।
তসলিম মিয়া বলেন, নতুন অর্থবছর থেকে পৌরসভার নিবন্ধন ছাড়া কোনো হ্যালোবাইক এবং অটোরিকশা শহরে চলাচল করতে পারবে না। কোনো চালক যদি নিবন্ধন না করে রিকশা রাস্তায় নামান, তাহলে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
৭ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
১০ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
১৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝিয়াড়া শ্মশান এলাকার নদ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে