ইছামতী নদীতে হয়ে গেল নৌকাবাইচ 

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ০৫
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ৫৯

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার বাহাদুরপুর পদ্মা নদীসংলগ্ন ইছামতী নদীতে বাহাদুরপুর ও ডেগিরচর গ্রামবাসীর আয়োজনে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাইচে প্রত্যন্ত গ্রামের আটটি সরেঙ্গা ও ছিপ নৌকা অংশ নেয়।

গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদীর মোল্লাবাড়ী পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে এক কিলোমিটার দূরে বাহাদুরপুর পয়েন্টে বাইচ শেষ হয়।

বিভিন্ন বয়সের মানুষ নদীর দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন। বিকেল থেকে নানা বর্ণে ও বিচিত্র সাজে সজ্জিত নৌকা ও মাল্লার বাইচ শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। নদীর দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের করতালি ও হর্ষধ্বনিতে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় দিয়াইল গ্রামের বিল্লালের নৌকা চ্যাম্পিয়ন হয়। এ ছাড়া তেরোদোনা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ‘সোনার চান’, কাঞ্চনপুর কুশিয়ারচর এলাকার বারেক গায়েনের ‘গায়েনতরি’, ঝিটকার ছোরহাব গাছীর ‘হাজারী তরি’ ও সোনার তরি’, সুবোধ সন্ন্যাসীর তরি ছাড়া ছোট ছোট কয়েকটি বাইচের নৌকাও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। 

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গণমান্য ব্যক্তিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব নৌকাকেও পুরস্কার দেওয়া হয়। আজ সোমবার বিকেলে ইছামতী নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা গোপীনাথপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এক যুগেরও আগে এখানে গ্রামবাসীর উদ্যোগে নৌকা বাইচের প্রচলন হয়। দীর্ঘদিন ধরে আমরা উৎসবের আমেজে প্রতিবছর এ আয়োজন করি। তবে করোনার সময় বন্ধ ছিল। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’ 

‘সেনার চান’ নৌকার মালিক তেরোদোনা এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাইচের নৌকার মাল্লা হয়ে তালে তালে বইঠা মেরে নিজে আনন্দ পাই; নদীর দুই কূলে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদেরও আনন্দ দেই। এটিই আমাদের পরম পাওয়া।’ আজ সোমবার বিকেলে ইছামতী নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা নৌকাবাইচ দেখতে আসেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনের (এনআইটিওআর) সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক ও ট্রমা) ডা. সাহিদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর পর এ নৌকাবাইচ দেখলাম। এ বাইচ আমাদের আনন্দ দিয়েছে। এমন বিনোদন সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারলে যুবসমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতি আকৃষ্ট হবে। মাদক থেকে মুক্তি পাবে।’আজ সোমবার বিকেলে ইছামতী নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা পুরস্কার বিতরণে মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, বর্তমান চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি দেলোয়ার, নিটোরের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সাহিদুর রহমান খান, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত