ইন্টারনেট পাওয়া যায় না জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩: ৫৮
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪: ১৭

চিকিৎসাসেবায় যখন ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি অভাবনীয় সাফল্য এনে দিচ্ছে, সেই সময় ঢাকার অতি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট ৷ বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ওসমানী মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, জাতীয় বিজ্ঞান ও চক্ষু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালসমূহে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার। 

গত এক সপ্তাহে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের একটি পর্যবেক্ষণ টিম রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা পর্যবেক্ষণ করে। আজ বুধবার পর্যবেক্ষণের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিবৃতি দেয় সংগঠনটি। 

সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকার জনগুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে কয়টি চিকিৎসাকেন্দ্র বা হাসপাতাল রয়েছে তা রাজধানীতেই। আর এসব হাসপাতাল ভবনের ৮৫ ভাগ স্থানে পাওয়া যায় না ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। টুজি সেবা পাওয়া গেলেও সেটিও মানসম্পন্ন নয়। অসুস্থ রোগীরা ও তাদের স্বজনেরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বেশ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। ডাক্তারদের চেম্বারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা থাকায় সেখানে তাঁরা ইন্টারনেট সেবা পেলেও যখন রাউন্ডে থাকেন, তখন ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের স্বাস্থ্য খাতে যখন সরকার আধুনিক উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়ার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন, সে সময় জনগুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্রে ইন্টারনেট সেবা না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার রোগী রাজধানী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন সবাই উৎকণ্ঠায় থাকে। তাছাড়া অর্থ লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই টেলি-যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা হাসপাতালগুলোর জন্য এবং গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। আর এই মাধ্যম যখন অকার্যকর থাকে, তখন বর্তমান সময়ে গ্রাহকেরা হতাশাগ্রস্ত হয়। 

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালগুলোতে পর্যবেক্ষণকালে অনেক রোগীর আত্মীয়স্বজন আমাদের কাছে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। একইভাবে হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান। আমরা বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় গণমাধ্যমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে মেডিকেল কলেজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষকে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত