Ajker Patrika

‘গরমের মধ্যে রিকশা না চালালে খাব কী’

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯: ৩৮
‘গরমের মধ্যে রিকশা না চালালে খাব কী’

‘গরম কী পেটে ভাত দেবে? রিকশা না চালালে খাব কী? ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাড় হবে কেমনে? স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে  হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ওষুধের টাকা জোগাড় করতে হয়। রিকশা না চালালে কীভাবে চলবে? আমার এই পায়েচালিত রিকশায় মানুষ এমনিতেই উঠতে চান না। এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আরও উঠতে চান না।’

কথাগুলো পায়ে চালানো রিকশাচালক বৃদ্ধ জালালউদ্দিন খন্দকারের। গতকাল শনিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার একটি সড়কে বসে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি পাকদী এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘ বছর খুলনার সোনালি জুট মিলে পিয়নের চাকরি করতেন। এরপর অবসরে মাদারীপুরের পাকদী এলাকার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। তখন থেকেই তিনি রিকশা চালান।

প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি এই রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্তমানে অটোরিকশার ভিড়ে এখন আর পায়েচালিত রিকশায় তেমন একটা টাকা রোজগাড় হয় না। দিনে কোনো দিন ২৫০, ৩০০, ৪০০ টাকার মতো হয়। তা দিয়েই তাঁর পুরো সংসারের খরচ জোগাড় করতে হয়। তবু জীবনের তাগিদে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও রিকশা নিয়ে জালালকে প্রতিদিনই বের হতে হয়।

বৃদ্ধ জালাল বলেন, ‘পেটের দায়ে এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। বয়স হয়েছে, অনেক কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে মনে হয় আর শরীর চলে না। প্যাডেলে চাপ দিতে পারি না। তবু রিকশা চালাতে হয়।’

মাদারীপুর রিকশাশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাদারীপুর শহরে হাতে গোনা ১০-১২টি পায়েচালিত রিকশা আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত