অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন: এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের তারিখ পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৩২
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪: ১৬

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। 

আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই তারিখ ধার্য করেন। 

আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক আক্কাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এর আগে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা সম্পদ অর্জন করে তা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান। এরপর তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান। এই পর্যায়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১ /এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান। বরাদ্দপ্রাপ্তির পর সিনহা প্লটটি তাঁর আত্মীয় জনৈক শঙ্খজিৎ সিংহকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়োগ করেন।

অনুসন্ধানে নথিপত্রে দুদক তথ্য-প্রমাণ পায় যে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই উত্তরার ওই প্লটের অনুকূলে রাজউকে মোট ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরে তাঁর তত্ত্বাবধানেই ওই প্লটে ৯তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এই নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন করে দুদক। 

রাজউকের প্লটের মূল্য ৭৫ লাখ টাকা এবং ভবন নির্মাণে ব্যয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকাসহ সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে জনৈক খালেদা চৌধুরীর কাছ থেকে ভবনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এই টাকা বাদে অবশিষ্ট ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা এবং আত্মীয় শঙ্খজিৎ সিংহের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী ও নগদে ৭৮ লাখ টাকা জমা পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। 

মামলায় দুদকের অভিযোগ, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভাই ও আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন। এই সম্পদ অর্জনের বৈধ কোনো উৎস নেই এবং তা তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত