মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর-০৩ আসনে (কালকিনি-ডাসার-সদর একাংশ) নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় জয় ও পরাজয় দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত দুই দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গ্রামে এই তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে আহত হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো। এই সব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মাদারীপুর-০৩ আসনের কালকিনির কয়ারিয়া, ফাসিয়াতলা, আলীনগর, কালীগঞ্জ, নয়াকান্দি, ডাসারের শশীকর, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর, কেন্দুয়াসহ প্রায় ২০-২৫টি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এই আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঈগল প্রতীকের মোসা. তাহমিনা বেগম ও পরাজিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের কর্মী-সমর্থকের প্রায় তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া কিছু কিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। স্বতন্ত্রের বিজয় মিছিলে বোমা হামলা ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনায় উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তারা মাদারীপুর, কালকিনি, বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এতে করে ওই সব গ্রামে থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই যেসব এলাকায় উত্তেজনা আছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কালকিনির কয়ারিয়া গ্রামের সুমন হোসেন, জয়নাল ব্যাপারী, শেফালি বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘আমরা নৌকার পক্ষে ভোট দিয়েছি। তাই আমাদের ওপর এই হামলা হয়েছে। এক সঙ্গে কয়েকশ মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। ঘর থেকে সবকিছু নিয়ে গেছে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
এদিকে কালকিনির ফাসিয়াতলা গ্রামের ইউসুফ আলী, সালমা বেগম, জাকির হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে ভোট দিয়েছি তাই আমাদের বহু কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ঘরবাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে পরাজিত নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, ‘প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রামের নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট-ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিজয়ী স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগমের লোকজন। এমনকি ওই সব ঘরের মহিলাদের স্বর্ণও নিয়ে গেছেন। টাকা পয়সাও নিয়ে গেছে। মারধর করেছেন। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার হওয়া উচিত। এগুলো বন্ধের দাবি জানাই।’
সদ্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, ‘কয়েকটি স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যারা ঘটিয়েছে তাঁরা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। ঘটনার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কেউ জড়িত নয়। বরং নৌকায় ভোট না দেওয়ায় নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে। এমনকি আমাদের বিজয় মিছিলে বোমা হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে। আমরা এসব বন্ধ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাকে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
উল্লেখ্য, মাদারীপুর-০৩ আসনে ঈগল প্রতীকে ৯৬ হাজার ৩৩৩ পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম। তিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরদিকে নৌকা প্রতীকে ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পান ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট। পরাজিত এই প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
মাদারীপুর-০৩ আসনে (কালকিনি-ডাসার-সদর একাংশ) নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় জয় ও পরাজয় দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত দুই দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গ্রামে এই তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে আহত হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো। এই সব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মাদারীপুর-০৩ আসনের কালকিনির কয়ারিয়া, ফাসিয়াতলা, আলীনগর, কালীগঞ্জ, নয়াকান্দি, ডাসারের শশীকর, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর, কেন্দুয়াসহ প্রায় ২০-২৫টি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এই আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঈগল প্রতীকের মোসা. তাহমিনা বেগম ও পরাজিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের কর্মী-সমর্থকের প্রায় তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া কিছু কিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। স্বতন্ত্রের বিজয় মিছিলে বোমা হামলা ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনায় উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তারা মাদারীপুর, কালকিনি, বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এতে করে ওই সব গ্রামে থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই যেসব এলাকায় উত্তেজনা আছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কালকিনির কয়ারিয়া গ্রামের সুমন হোসেন, জয়নাল ব্যাপারী, শেফালি বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘আমরা নৌকার পক্ষে ভোট দিয়েছি। তাই আমাদের ওপর এই হামলা হয়েছে। এক সঙ্গে কয়েকশ মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। ঘর থেকে সবকিছু নিয়ে গেছে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
এদিকে কালকিনির ফাসিয়াতলা গ্রামের ইউসুফ আলী, সালমা বেগম, জাকির হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে ভোট দিয়েছি তাই আমাদের বহু কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ঘরবাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে পরাজিত নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, ‘প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রামের নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট-ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিজয়ী স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগমের লোকজন। এমনকি ওই সব ঘরের মহিলাদের স্বর্ণও নিয়ে গেছেন। টাকা পয়সাও নিয়ে গেছে। মারধর করেছেন। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার হওয়া উচিত। এগুলো বন্ধের দাবি জানাই।’
সদ্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, ‘কয়েকটি স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যারা ঘটিয়েছে তাঁরা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। ঘটনার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কেউ জড়িত নয়। বরং নৌকায় ভোট না দেওয়ায় নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে। এমনকি আমাদের বিজয় মিছিলে বোমা হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে। আমরা এসব বন্ধ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাকে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
উল্লেখ্য, মাদারীপুর-০৩ আসনে ঈগল প্রতীকে ৯৬ হাজার ৩৩৩ পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম। তিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরদিকে নৌকা প্রতীকে ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পান ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট। পরাজিত এই প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
২৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে