শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। পরে মোবাইল ফোনে হত্যার বিষয়টি তিনি তাঁর বন্ধুকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় গৃহবধূর মরদেহের পাশের পাঁচ পৃষ্ঠার চিরকুট ও রশি পাওয়া যায়।
আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের বহুতল ভবনের তিনতলার একটি রুম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মিম আক্তার (১৮) সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়াখাড়ুয়া গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুর উপজেলা মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের বহুতল ভবনের তিনতলায় থাকতেন।
স্বামী আল আমিন (২৫) টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার কালাই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় সাদ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
পাঁচ পৃষ্ঠায় চিরকুটে স্বামী লিখেছেন, ‘মা আমারে মাফ কইরা দিও, অনেক স্বপ্ন ছিল তুমাকে কোনদিন কষ্ট দিব না। কিন্তু এমন একজন মানুষ আমারে আইনা দিছ, যাঁর অত্যাচার থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত নিলাম। তিলে তিলে মরার চাইতে একেবারে মরে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ কইরা দিও, সে আমাকে কয়েক মাসের মধ্যে মানসিক রোগী বানাইয়া ফালছে। নিজে একাই মইরা জাইতাম কিন্তু এরে যদি বাঁচাইয়া রাইখা যায় এ আরো অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করবো। তাই মাইরা ফেললাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রাসূলের সব সুন্নতগুলি আমার জীবনে বাস্তবায়িত করবো। কিন্তু পারলাম না। পরিশেষে সবার জন্য দোয়া করে গেলাম এমন বউ যেন কারো কপালে না জোটে। কাওসার ভাইদের দোকান থেকে ৫০০ টাকা নগদ দিয়া ৯০০ টাকা বাকি রাখিয়া চাউলের বস্তা আনছিলাম। রুম ভাড়া রুমের আসবাবপত্র বিক্রি করে দিয়া দিও।’
নিহতের বড় ভাই নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯ মাস আগে বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে সংসারে তেমন বড় কোনো ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। ওরা স্বামী-স্ত্রী একটি বাসাভাড়া নিয়ে থাকত। আজ দুপুরের দিকে বাড়ির ভাড়াটিয়া আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপর এসে বোনের মরদেহ দেখতে পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোনের বাসায় এসে অন্য ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে জানতে পারি বোনকে তার স্বামী গলায় রশি বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে। এরপর বোন জামাইয়ের এক বন্ধুকে ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়।’
আল আমিনের বন্ধু ও পোশাক শ্রমিক আরিফুল ইসলামের বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাড়াটিয়া বলেন, ‘আজ দুপুরের কিছু আগে আল আমিনের এক বন্ধু এসে জানায় আল আমিন তাকে ফোন করে বলছে সে তার স্ত্রীকে খুন করে ঘরের ভেতর রেখে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। যাতে লাশ পঁচে যাওয়ার আগে তার আত্মীয়স্বজন এসে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি তিনি বাড়ির মালিককে অবহিত করেন। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘরের দরজার তালা ভেঙে মরদেহ দেখতে পায়।’
মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. শামীম মৃধা বলেন, ‘ঘরের ভেতর লাশ আছে, এমন খবর পেয়ে বিষয়টি আমি পুলিশে অবহিত করি। এরপর পুলিশ এসে ঘরের দরজার তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে পাঁচ পৃষ্ঠার কাগজে চিরকুট ও রশি পড়ে ছিল।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর ঘরের ভেতর লাশ রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় স্বামী। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজার লক ভেঙে ঘরের মেঝেতে নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মরদেহের পাশে চিরকুট ও রশি ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। পরে মোবাইল ফোনে হত্যার বিষয়টি তিনি তাঁর বন্ধুকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় গৃহবধূর মরদেহের পাশের পাঁচ পৃষ্ঠার চিরকুট ও রশি পাওয়া যায়।
আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের বহুতল ভবনের তিনতলার একটি রুম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মিম আক্তার (১৮) সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়াখাড়ুয়া গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুর উপজেলা মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের বহুতল ভবনের তিনতলায় থাকতেন।
স্বামী আল আমিন (২৫) টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার কালাই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় সাদ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
পাঁচ পৃষ্ঠায় চিরকুটে স্বামী লিখেছেন, ‘মা আমারে মাফ কইরা দিও, অনেক স্বপ্ন ছিল তুমাকে কোনদিন কষ্ট দিব না। কিন্তু এমন একজন মানুষ আমারে আইনা দিছ, যাঁর অত্যাচার থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত নিলাম। তিলে তিলে মরার চাইতে একেবারে মরে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ কইরা দিও, সে আমাকে কয়েক মাসের মধ্যে মানসিক রোগী বানাইয়া ফালছে। নিজে একাই মইরা জাইতাম কিন্তু এরে যদি বাঁচাইয়া রাইখা যায় এ আরো অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করবো। তাই মাইরা ফেললাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রাসূলের সব সুন্নতগুলি আমার জীবনে বাস্তবায়িত করবো। কিন্তু পারলাম না। পরিশেষে সবার জন্য দোয়া করে গেলাম এমন বউ যেন কারো কপালে না জোটে। কাওসার ভাইদের দোকান থেকে ৫০০ টাকা নগদ দিয়া ৯০০ টাকা বাকি রাখিয়া চাউলের বস্তা আনছিলাম। রুম ভাড়া রুমের আসবাবপত্র বিক্রি করে দিয়া দিও।’
নিহতের বড় ভাই নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯ মাস আগে বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে সংসারে তেমন বড় কোনো ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। ওরা স্বামী-স্ত্রী একটি বাসাভাড়া নিয়ে থাকত। আজ দুপুরের দিকে বাড়ির ভাড়াটিয়া আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপর এসে বোনের মরদেহ দেখতে পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোনের বাসায় এসে অন্য ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে জানতে পারি বোনকে তার স্বামী গলায় রশি বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে। এরপর বোন জামাইয়ের এক বন্ধুকে ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়।’
আল আমিনের বন্ধু ও পোশাক শ্রমিক আরিফুল ইসলামের বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাড়াটিয়া বলেন, ‘আজ দুপুরের কিছু আগে আল আমিনের এক বন্ধু এসে জানায় আল আমিন তাকে ফোন করে বলছে সে তার স্ত্রীকে খুন করে ঘরের ভেতর রেখে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। যাতে লাশ পঁচে যাওয়ার আগে তার আত্মীয়স্বজন এসে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি তিনি বাড়ির মালিককে অবহিত করেন। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘরের দরজার তালা ভেঙে মরদেহ দেখতে পায়।’
মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. শামীম মৃধা বলেন, ‘ঘরের ভেতর লাশ আছে, এমন খবর পেয়ে বিষয়টি আমি পুলিশে অবহিত করি। এরপর পুলিশ এসে ঘরের দরজার তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে পাঁচ পৃষ্ঠার কাগজে চিরকুট ও রশি পড়ে ছিল।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর ঘরের ভেতর লাশ রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় স্বামী। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজার লক ভেঙে ঘরের মেঝেতে নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মরদেহের পাশে চিরকুট ও রশি ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
নুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগে