নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর)

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর)

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ মিনিট আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে