সাইফুল মাসুম, ঢাকা
নাগরিক সেবা সহজ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছিল ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপস। বলা হয়েছিল অ্যাপসটির মাধ্যমে নাগরিকেরা মশার উপদ্রব ও জলাবদ্ধতাসহ ৮টি সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তবে চালুর কিছুদিন পর থেকে অ্যাপসটির কার্যকারিতা কমতে থাকে। সবশেষ গত অক্টোবর মাসে করা অভিযোগের ৭০ শতাংশেরই কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।
‘সবার ঢাকা’ অ্যাপে গত অক্টোবর মাসে ২৫৩ জন নাগরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। সমাধান পেয়েছেন মাত্র ৭৬ জন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের ৯৫টি অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৩৬টি। অর্থাৎ সে মাসেও ৬২ শতাংশ অভিযোগেরই নিষ্পত্তি হয়নি। আগস্টে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়ার হার ৬৫ শতাংশ।
অ্যাপস-সংশ্লিষ্ট ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাপসটি নিয়ে আগের তুলনায় প্রচার নেই। তাছাড়া সরকার বদলের পর কাউন্সিলররা নেই। অভিযোগ নিষ্পত্তির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদেরও উদাসীনতা রয়েছে।
তৎকালীন মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে ২০১৯ সালে ডিএনসিসির ৩৩তম করপোরেশন সভায় সবার ঢাকা অ্যাপস তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। তখন বলা হয়েছিল অ্যাপসটির প্রধান উদ্দেশ্য হবে নগরবাসীর জীবনযাত্রা সহজ করে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলা। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসির আইটি বিভাগ থেকে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অ্যাপস চালুর প্রথম বছর ২০২১ সালে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ৯৯ শতাংশরই নিষ্পত্তি হয়। ২০২২ সালেও অভিযোগের ৯৯ শতাংশ নিষ্পত্তি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সালে নিষ্পত্তির হার সামান্য কমে ৯৮ শতাংশ হয়। অভিযোগ ও নিষ্পত্তির হার দুটোই কমে যায় ২০২৪ সালে। এ বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল আড়াই হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে সমাধান হয়নি এমন অভিযোগ ৯৩৪টির মতো। শতকরা হারে যা প্রায় ৬৬ শতাংশ।
রাস্তার সমস্যা নিয়ে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপসসহ বিভিন্নভাবে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা ইয়াছিন রানা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দক্ষিণখান বাজার থেকে কসাইবাড়ি রাস্তার অবস্থা বেহাল। উন্নয়ন কাজের নামে এক বছর আগে রাস্তাগুলো কেটে রাখা হয়েছে। শুধু সবার ঢাকা অ্যাপসে না, সরাসরি ও লিখিত অভিযোগ জানিয়েও সমাধান হয়নি।
সবার ঢাকা অ্যাপসটির মাধ্যমে ঢাকার নাগরিকেরা তাঁদের এলাকার সুনির্দিষ্ট আটটি সমস্যার তথ্য জানিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৮৪৬টি অভিযোগ পড়েছে রাস্তার সমস্যা নিয়ে। সমাধানের হার বলা হয়েছে ৭৩ শতাংশ। সড়কবাতি নিয়ে ৫০৯টি অভিযোগের বিপরীতে সমাধান হয়েছে ২৬৫টি অর্থাৎ ৫২ শতাংশ। আবর্জনা নিয়ে ৪৮০টি অভিযোগের মধ্যে ৩৮০টির সমাধান হয়েছে। পাবলিক টয়লেট নিয়ে অভিযোগের একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার ঢাকা অ্যাপস সচল আছে। নাগরিকদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তবে নিষ্পত্তির হার আগের তুলনায় কেন কমল তা আমরা খতিয়ে দেখব।’
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো বেশ ভালো পদক্ষেপ। শুরুর দিকে অ্যাপস নিয়ে সিটি করপোরেশনের তৎপরতা থাকলেও এখন তা কমে এসেছে। অনেকে অভিযোগ জানিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না এটা দুঃখজনক। যাদের উদাসীনতায় মানুষ সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণার অংশ হিসেবে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছিল। এ-সংক্রান্ত অনেক প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আইসিটি বিভাগের তৈরি করা অনেক অ্যাপস কোনো কাজে আসেনি। আবার কিছুর ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয়নি।
নাগরিক সেবা সহজ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছিল ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপস। বলা হয়েছিল অ্যাপসটির মাধ্যমে নাগরিকেরা মশার উপদ্রব ও জলাবদ্ধতাসহ ৮টি সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তবে চালুর কিছুদিন পর থেকে অ্যাপসটির কার্যকারিতা কমতে থাকে। সবশেষ গত অক্টোবর মাসে করা অভিযোগের ৭০ শতাংশেরই কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।
‘সবার ঢাকা’ অ্যাপে গত অক্টোবর মাসে ২৫৩ জন নাগরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। সমাধান পেয়েছেন মাত্র ৭৬ জন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের ৯৫টি অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৩৬টি। অর্থাৎ সে মাসেও ৬২ শতাংশ অভিযোগেরই নিষ্পত্তি হয়নি। আগস্টে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়ার হার ৬৫ শতাংশ।
অ্যাপস-সংশ্লিষ্ট ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাপসটি নিয়ে আগের তুলনায় প্রচার নেই। তাছাড়া সরকার বদলের পর কাউন্সিলররা নেই। অভিযোগ নিষ্পত্তির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদেরও উদাসীনতা রয়েছে।
তৎকালীন মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে ২০১৯ সালে ডিএনসিসির ৩৩তম করপোরেশন সভায় সবার ঢাকা অ্যাপস তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। তখন বলা হয়েছিল অ্যাপসটির প্রধান উদ্দেশ্য হবে নগরবাসীর জীবনযাত্রা সহজ করে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলা। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসির আইটি বিভাগ থেকে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অ্যাপস চালুর প্রথম বছর ২০২১ সালে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ৯৯ শতাংশরই নিষ্পত্তি হয়। ২০২২ সালেও অভিযোগের ৯৯ শতাংশ নিষ্পত্তি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সালে নিষ্পত্তির হার সামান্য কমে ৯৮ শতাংশ হয়। অভিযোগ ও নিষ্পত্তির হার দুটোই কমে যায় ২০২৪ সালে। এ বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল আড়াই হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে সমাধান হয়নি এমন অভিযোগ ৯৩৪টির মতো। শতকরা হারে যা প্রায় ৬৬ শতাংশ।
রাস্তার সমস্যা নিয়ে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপসসহ বিভিন্নভাবে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা ইয়াছিন রানা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দক্ষিণখান বাজার থেকে কসাইবাড়ি রাস্তার অবস্থা বেহাল। উন্নয়ন কাজের নামে এক বছর আগে রাস্তাগুলো কেটে রাখা হয়েছে। শুধু সবার ঢাকা অ্যাপসে না, সরাসরি ও লিখিত অভিযোগ জানিয়েও সমাধান হয়নি।
সবার ঢাকা অ্যাপসটির মাধ্যমে ঢাকার নাগরিকেরা তাঁদের এলাকার সুনির্দিষ্ট আটটি সমস্যার তথ্য জানিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৮৪৬টি অভিযোগ পড়েছে রাস্তার সমস্যা নিয়ে। সমাধানের হার বলা হয়েছে ৭৩ শতাংশ। সড়কবাতি নিয়ে ৫০৯টি অভিযোগের বিপরীতে সমাধান হয়েছে ২৬৫টি অর্থাৎ ৫২ শতাংশ। আবর্জনা নিয়ে ৪৮০টি অভিযোগের মধ্যে ৩৮০টির সমাধান হয়েছে। পাবলিক টয়লেট নিয়ে অভিযোগের একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার ঢাকা অ্যাপস সচল আছে। নাগরিকদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তবে নিষ্পত্তির হার আগের তুলনায় কেন কমল তা আমরা খতিয়ে দেখব।’
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো বেশ ভালো পদক্ষেপ। শুরুর দিকে অ্যাপস নিয়ে সিটি করপোরেশনের তৎপরতা থাকলেও এখন তা কমে এসেছে। অনেকে অভিযোগ জানিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না এটা দুঃখজনক। যাদের উদাসীনতায় মানুষ সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণার অংশ হিসেবে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছিল। এ-সংক্রান্ত অনেক প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আইসিটি বিভাগের তৈরি করা অনেক অ্যাপস কোনো কাজে আসেনি। আবার কিছুর ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয়নি।
গাজীপুর মহানগরীর সারাবো এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।
১৮ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে ধার্য তারিখ। কমিউনিটি সেন্টার ঠিক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটা কাজ। এর মধ্যেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের
২৭ মিনিট আগেরাজধানীর সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে তারা মহাখালী ও খিলগাঁওয়ে রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়...
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর রায়পুরায় আগাম জাতের আমন ধানে ভালো ফলন দেখা দিয়েছে। ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দাম ভালো পাচ্ছেন তাঁরা। তবে, অনেক খেতে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে