বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ ব্যারিস্টার সুমনের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৫৭
Thumbnail image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই আবেদন জমা দেন। 

আবেদনে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক, তাঁর স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।’ 

‘এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল লো মেরিডিয়েন ঢাকার শেয়ার, গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। 

‘বেনজীর আহমেদ পদের অপব্যবহার করে তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরিউক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’

এদিকে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকে আবেদন দেওয়ার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি। 

‘কারণ, সাবেক আইজিপির যদি এত সম্পদ থাকে, তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যাঁরা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন, তাঁরা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যাঁরা সৎ আছেন, তাঁদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবে। 

‘এই অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবে আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।’ 

সুমন বলেন, ‘এত সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়তো একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এত বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? 

দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে, তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয়, তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত