Ajker Patrika

আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘শিশুরা আমাদের নিকট থেকেই শিখবে। শিশুদের জন্য আমরা কী করছি—এটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।’

আজ বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৩ ও ২০২৪-এর পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রতিযোগিতা একটি শিখন প্রক্রিয়া। প্রতিযোগিতা হারজিতের বিষয় নয় বরং এটি শেখার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির সুযোগ ঘটে থাকে। এটি একজন মানুষকে দক্ষ করে তোলে। এই শিশু-কিশোরই আগামীদিনে জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে, জাতিকে এগিয়ে নেবে। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে তাদের অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের যে পৃথিবী, সেই পৃথিবীর সঙ্গে সমান তালে তারাও যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে, সে ভাবেই তাদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সৎগুণের উন্মেষ ঘটাতে হবে।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের কৌশল রপ্ত করতে হবে। যে বিষয়ে প্রতিযোগিতায় তুমি অংশ নিতে যাচ্ছ সেই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সৎগুণের উন্মেষ ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়েখ আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দী, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুর রশিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. হাবেজ আহমদ প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কিরাত, হামদ, নাত, আজান, আবৃত্তি, বক্তৃতা, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১ ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ৬০ জন প্রতিযোগীদের হাতে মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতাটি উপজেলা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত