Ajker Patrika

কাপাসিয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে মারধর

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০: ৩০
কাপাসিয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে মারধর

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মোস্তফা কামাল নামের এক প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মোস্তফা কামাল উপজেলার ভাওয়াল চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সকালে প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ওই ছাত্রীকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে তার বাড়ি নামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার সেই বাড়িতে ঢুকে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। তাতে সন্দেহ হলে রাত ৮টার দিকে এলাকাবাসী ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায়। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী মোস্তফা কামালকে আটক করে মারধর করে। এ সময় তাঁকে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গিয়ে মুচলেকা রেখে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল কিশোরগঞ্জের নিকলী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যেতেন। গতকাল ওই ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সারা দিন ঘোরাঘুরি করে ছাত্রীর বাড়িতে রেখে চলে গেলেও সন্ধ্যার পর আবার তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসেন। একই অভিযোগে ছয়-সাত দিন আগে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ওই শিক্ষককে মারধর করেছে এলাকাবাসী।

তবে প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল দাবি করেন, তিনি সপ্তাহে দুই দিন সন্ধ্যার পর ওই ছাত্রীকে তার বাসায় পড়াতে যান। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং এলাকাবাসী ষড়যন্ত্রমূলক তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাহার আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ খান বলেন, অন্য কোনো ছাত্রীর বাড়িতে না গিয়ে তিনি প্রায়ই কেন রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান, এ নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুন্দর সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত