গাজীপুর প্রতিনিধি
আগামীকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০। এর মধ্যে ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় মহানগরীর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে ব্রিফিং করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ বলছে, নানা বিবেচনায় এসব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ বলতে এখানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও রয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার ওপর সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে, অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমি আশা করি সকলেই তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। তবে দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা যেন সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।’
ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি, আগামীকাল সকল ভোটারগণ নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মক কাজ করা হয়েছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য যে অনুযায়ী মোতায়েন হবে।
এই সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র আছে ৪৮০টি। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই বা এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৩ কনস্টেবল থাকবে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত ২ জন আনসার সদস্য, লাঠি হাতে (মহিলা ৪ জন ও পুরুষ ৬ জন) ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই বা এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৪ কনস্টেবল থাকবে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত ২ জন আনসার সদস্য, লাঠি হাতে (মহিলা ৪ জন ও পুরুষ ৬ জন) ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে পুলিশের ৫৭টি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানা এলাকায় ৮টি রিজার্ভ স্ট্রাইকার ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের মোট ১৯টি স্ট্রাইকার ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে র্যাবের একটি করে মোট ৩০টি টিম নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। নগরীর প্রতি ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে পৃথক সিসি ক্যামেরা থাকবে। যা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কমিশনাররা সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আগামীকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০। এর মধ্যে ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় মহানগরীর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে ব্রিফিং করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ বলছে, নানা বিবেচনায় এসব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ বলতে এখানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও রয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার ওপর সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে, অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমি আশা করি সকলেই তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। তবে দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা যেন সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।’
ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি, আগামীকাল সকল ভোটারগণ নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মক কাজ করা হয়েছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য যে অনুযায়ী মোতায়েন হবে।
এই সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র আছে ৪৮০টি। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই বা এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৩ কনস্টেবল থাকবে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত ২ জন আনসার সদস্য, লাঠি হাতে (মহিলা ৪ জন ও পুরুষ ৬ জন) ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই বা এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৪ কনস্টেবল থাকবে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত ২ জন আনসার সদস্য, লাঠি হাতে (মহিলা ৪ জন ও পুরুষ ৬ জন) ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে পুলিশের ৫৭টি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানা এলাকায় ৮টি রিজার্ভ স্ট্রাইকার ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের মোট ১৯টি স্ট্রাইকার ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে র্যাবের একটি করে মোট ৩০টি টিম নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। নগরীর প্রতি ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে পৃথক সিসি ক্যামেরা থাকবে। যা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কমিশনাররা সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৬ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে