তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩৭
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ০৫

তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষসহ কয়েকটি নারী ও শ্রম অধিকার সংগঠন। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ন্যায্য মজুরির লড়াইয়ে নারী সমাজ’ শিরোনামে ব্যানারে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনগুলোর সদস্যরা। 

তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো গ্রেড বৈষম্য দূর করতে মজুরি কাঠামো পরিবর্তন করা, সোয়েটার ও পিস রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দেওয়া, সোয়েটারে ৩ শিফট ও ওভারটাইম নিশ্চিত করা ও মজুরি বোর্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা। 

সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভানেত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ খাত পোশাক শিল্পে ৪০ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করেন। বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা কম হওয়ার কারণে শ্রমিকেরা ঝরে যাচ্ছেন। নারীপক্ষসহ আমরা শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছি।’ 

সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য রেহানা সামদানী। তিনি জানান, দেশের জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান ১১ ভাগ। ২০১৮ সালে মজুরি ঘোষণার পরবর্তী ৫ বছরে করোনাকাল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধোত্তর অর্থনৈতিক ধাক্কা, মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির সংকটে অন্যান্য খাতের পতন হলেও পোশাক খাত তার বিকাশ অব্যাহত রেখেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রচলিত-অপ্রচলিত উভয় বাজারে মোট পোশাক রপ্তানি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে রপ্তানির হার ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে (৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলার) পৌঁছেছে যা গত বছরে ছিল ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার (৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলার)। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, বিশ্ববাজারে এ খাত সুনাম কুড়ালেও দেশের শ্রমিকেরা সবচেয়ে কম মজুরিতে কাজ করেন। তাঁরা দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করতে পারেননি। 

বক্তারা বলেন, বর্তমান বাজারে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিকেরা দিশেহারা। ২০১৮-১৯ সালে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণার পর গত কয়েক বছরে বাড়ি ভাড়া, সন্তানের লেখা পড়ার খরচ, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিলসহ জীবনযাত্রার খরচ এতই বেড়েছে যে, বর্তমান মজুরি দিয়ে পোশাক শ্রমিকের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই পোশাক শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড ঘোষণা করা প্রয়োজন। 

নারীপক্ষের সদস্য মাহিন সুলতানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত