টোল প্লাজায় নিহত ৬: লাইসেন্সবিহীন ওই বাসচালক ছিলেন মাদকাসক্ত

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৭
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ১৮
Thumbnail image
বাস চালক ও পরিবহন মালিককে গ্রেপ্তারের পর আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালকের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বিষয়টি ধরা পড়েছে।

আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া। হাইওয়ে থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলেন তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় দায় চালক, মালিক, কেউ এড়াতে পারে না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাতনামা আরও অনেক আসামি রয়েছে। যাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ব্যাপারী পরিবহনের ধাক্কায় একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন নিহত হয়। এ ঘটনায় বেপারী পরিবহনের মালিক মো. ডাবলু ব্যাপারীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে মাদারীপুরের শিবচর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডাবলু ব্যাপারী মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা। এর আগে গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাসটির চালক মো. নুরুদ্দিনকে (২৯)।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বাসটির ফিটনেস ছিল না। দুর্ঘটনা ঘটার আগের দিন বাসটি ঠিকঠাক (মেরামত) করে রাস্তায় নামানো হয়েছিল। এক বছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারা তা নবায়ন করেনি। এ ছাড়া বাসচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।

বাসটি ৬০ জন যাত্রী নিয়ে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। গন্তব্যস্থলে দ্রুত পৌঁছাতে শুরু থেকেই বেপরোয়াভাবে বাসটি চালানো হচ্ছিল। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের ওপর উঠিয়ে দেয়। পরে বাসটির চালক ও সহকারী কৌশলে পালিয়ে যান। শুক্রবার চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর চালকের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তিনি মাদক সেবন করতেন। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।

বাসচাপায় নিহতরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের প্রয়াত সুমন খানের মেয়ে আমেনা আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।

এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন প্রাইভেট কারের মালিক সোহান (২৮), তাঁর বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), স্ত্রী আনামিকা আক্তার (২০) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিহত আমেনা আক্তারে বড় ভাই মো. নরুল আমিন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। মামলায় বাসমালিক, চালক, চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত