সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া আগুনে পুড়ছে সংরক্ষিত শাল-গজারি বনের বিভিন্ন প্রজাতির লতাগুল্ম, কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা নির্বিকার।
সরেজমিন সখীপুর বন বিভাগের কালমেঘা, কালিদাস, তক্তারচালা, নলুয়া, বহেড়াতৈল, আন্দি, কাকড়াজান, ডিবি গজারিয়া ও মরিচা এলাকার কয়েকটি সংরক্ষিত শাল-গজারি বন ঘুরে আগুন দেওয়ার চিত্র দেখা গেছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হতেয়া, বহেড়াতৈল ও বাঁশতৈল (অংশ) রেঞ্জের ১১টি বিটের অধীনে সখীপুরে ২৮ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৫২ একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমিতে শাল-গজারির সংরক্ষিত বন রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ১ হাজার ৭৮০ একর বনভূমিতে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ লাখ ৮০ হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বনে আগুন দেওয়ায় ওই সব চারাও ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
সম্প্রতি হতেয়া রেঞ্জের কালমেঘা বিট ও বহেড়াতৈল রেঞ্জের কাকড়াজান-মরিচা বিটের সংরক্ষিত শাল-গজারি বন ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুনে বড় গাছগুলো অক্ষত থাকলেও নিচের ছোট বিভিন্ন প্রজাতির লতাগুল্ম ও গাছ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কালিদাস, নলুয়া, তক্তারচালা এলাকায় কয়েকটি বনে গিয়েও আগুন দিয়ে লতাগুল্ম ধ্বংসের চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাতা ঝরার মৌসুম এলেই স্থানীয় বাসিন্দারা ইচ্ছে করেই বনে আগুন দেয়। এতে নিচের গাছগুলো পুড়ে যাওয়ার পর তা সংগ্রহ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করাই আগুন দেওয়ার উদ্দেশ্য। এর ক্ষতিকর দিক না বুঝেই বনে আগুন দেয় তারা।
কালমেঘা গ্রামের বাসিন্দা রেবেকা বেগম বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে যখন গজারিগাছের সব পাতা ঝরে পড়ে, তখন ঝোপঝাড় পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী পাতায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বনের ভেতরে থাকা সব লতাপাতা পুড়ে পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি যোগ করেন, এতে কেউ তো কখনো বাধা দেয়নি। বন বিভাগের লোকদেরও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। প্রতি বছরই বনে এভাবে আগুন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক (বর্তমানে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ) রহিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বনের মধ্যে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশাপাশি বনের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়, হুমকির মুখে পড়ে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আগুন দিয়ে লাকড়ি তৈরির অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এ জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক সভা-মাইকিং করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে বনে আগুন দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জনবল সংকটের কারণে সার্বক্ষণিক তদারকি করা সম্ভব হয় না। তবে এ বছর সুফল বাগানের ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় পাহারাদারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়দেরও সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া আগুনে পুড়ছে সংরক্ষিত শাল-গজারি বনের বিভিন্ন প্রজাতির লতাগুল্ম, কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা নির্বিকার।
সরেজমিন সখীপুর বন বিভাগের কালমেঘা, কালিদাস, তক্তারচালা, নলুয়া, বহেড়াতৈল, আন্দি, কাকড়াজান, ডিবি গজারিয়া ও মরিচা এলাকার কয়েকটি সংরক্ষিত শাল-গজারি বন ঘুরে আগুন দেওয়ার চিত্র দেখা গেছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হতেয়া, বহেড়াতৈল ও বাঁশতৈল (অংশ) রেঞ্জের ১১টি বিটের অধীনে সখীপুরে ২৮ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৫২ একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমিতে শাল-গজারির সংরক্ষিত বন রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ১ হাজার ৭৮০ একর বনভূমিতে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ লাখ ৮০ হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বনে আগুন দেওয়ায় ওই সব চারাও ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
সম্প্রতি হতেয়া রেঞ্জের কালমেঘা বিট ও বহেড়াতৈল রেঞ্জের কাকড়াজান-মরিচা বিটের সংরক্ষিত শাল-গজারি বন ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুনে বড় গাছগুলো অক্ষত থাকলেও নিচের ছোট বিভিন্ন প্রজাতির লতাগুল্ম ও গাছ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কালিদাস, নলুয়া, তক্তারচালা এলাকায় কয়েকটি বনে গিয়েও আগুন দিয়ে লতাগুল্ম ধ্বংসের চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাতা ঝরার মৌসুম এলেই স্থানীয় বাসিন্দারা ইচ্ছে করেই বনে আগুন দেয়। এতে নিচের গাছগুলো পুড়ে যাওয়ার পর তা সংগ্রহ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করাই আগুন দেওয়ার উদ্দেশ্য। এর ক্ষতিকর দিক না বুঝেই বনে আগুন দেয় তারা।
কালমেঘা গ্রামের বাসিন্দা রেবেকা বেগম বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে যখন গজারিগাছের সব পাতা ঝরে পড়ে, তখন ঝোপঝাড় পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী পাতায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বনের ভেতরে থাকা সব লতাপাতা পুড়ে পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি যোগ করেন, এতে কেউ তো কখনো বাধা দেয়নি। বন বিভাগের লোকদেরও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। প্রতি বছরই বনে এভাবে আগুন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক (বর্তমানে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ) রহিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বনের মধ্যে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশাপাশি বনের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়, হুমকির মুখে পড়ে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আগুন দিয়ে লাকড়ি তৈরির অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এ জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক সভা-মাইকিং করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে বনে আগুন দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জনবল সংকটের কারণে সার্বক্ষণিক তদারকি করা সম্ভব হয় না। তবে এ বছর সুফল বাগানের ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় পাহারাদারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়দেরও সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় মো. ফটিক ইসলাম (৩৫) নামে পথচারী এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৬ মিনিট আগেকক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সোয়া দশটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার আজিজনগর নুরু চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে। নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৩৮ মিনিট আগেরাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৯ ঘণ্টা আগে